দেশে স্বাভাবিক জীবনের শুরু বিলম্বিত হতে পারে
![](https://meghnanews.com.bd/wp-content/uploads/2020/05/image-1.jpg)
মেঘনা নিউজ ডেস্ক
বুধবার দুপুর ০৩:৩৯, ১৩ মে, ২০২০
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছেই। দেশে সংক্রমণ কত দিন প্রবলভাবে বজায় থাকবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যাচ্ছে। সময় গড়ালেও করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বলই থেকে যাচ্ছে। হাসপাতালে রোগী ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রা কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে দেরিতে হলেও দেশব্যাপী রোগ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নজরদারি সমীক্ষা শুরু করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। যৌথ এ সমীক্ষায় তাদের সঙ্গে আছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। এই সমীক্ষা থেকে জানা যেতে পারে, দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা প্রতিরোধক্ষমতা আদৌ গড়ে উঠছে কি না এবং গড়ে উঠলে তা কী মাত্রায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, পরামর্শক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ কখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে (পিক) উঠবে বা সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে কত দিন বজায় থাকবে, তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। লকডাউন (অবরুদ্ধ) শিথিল করা, পোশাক কারখানা চালু করা এবং দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই মতভেদ তৈরি হয়েছে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘এখন জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না যে আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রার শুরু বিলম্বিত হতে পারে।’
আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও নিবিড়ভাবে জানার জন্য দেশব্যাপী নজরদারি সমীক্ষা শুরু করেছে। জানা গেছে, এ মাসের শুরুতে জয়পুরহাট থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। রোগের লক্ষণ আছে এবং রোগের লক্ষণ নেই—এমন মানুষের রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেখা হবে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে উঠছে কি না, গড়ে উঠলে কোন মাত্রায়। এ ছাড়া সংক্রমণের ব্যাপ্তিও দেখা হচ্ছে।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কোনো কিট এখনো অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন দিলে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, কাজটি শেষ হতে এক মাসের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।