ঢাকা (বিকাল ৪:৫৯) শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News নেপালে আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হলেন নড়াইলের কৃতি সন্তান সোহাগ Meghna News নড়াইল জেলা ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবী মিলনমেলা অনুষ্ঠিত Meghna News বিআরডিবি’র নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন মহিউদ্দিন তালুকদার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে শাশুড়ী হত্যায় অভিযুক্ত টুটুল পলাতক Meghna News গৌরীপুরে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মোৎসব পালিত Meghna News সিলেট টিটিসি থেকে ২২ বছর পর বদলী : মালিক হলেন লাল লাখ টাকার! Meghna News গৌরীপুরে হুমায়ূন আহমেদের নামে ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবী ভক্তদের Meghna News সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে বালু বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় শিশু নিহত, চালক আটক Meghna News ভোলার চরফ্যাশনে মোটরসাইকেল-নসিমন সংঘর্ষে দুই বন্ধু নিহত

৩ বছরেও আয়ের কোনো মুখ দেখেনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

‌ফিচার নিউজ ২১৯৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock রবিবার রাত ০২:১১, ১৫ মে, ২০২২

চার বছর আগে মহাকাশে নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের সময় এটা থেকে অনেক আয় করার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা কারণে উৎক্ষেপণের প্রথম তিন বছরে স্যাটেলাইটটি থেকে কোনো আয় হয়নি। ফলে স্যাটেলাইটটির পেছনে যে খরচ হয়েছে তা উঠে আসতে প্রাথমিক হিসেবের চেয়ে আরও বেশি সময় লাগবে।

শনিবার (১৪ মে) বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তৈরি এবং উৎক্ষেপণে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সাত বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে এই অর্থ তুলে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের চার বছর পূর্তিতে এসে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলছেন, চার বছরের মধ্যে প্রথম তিন বছরে আমরা নানা কারণে কোনো আয় করতে পারিনি। কিন্তু ধীরেধীরে আমরা আয় করতে শুরু করেছি।

তবে স্যাটেলাইট থেকে বছরে ঠিক কী পরিমাণ আয় হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই মুহূর্তে স্যাটেলাইট থেকে যা আয় হয়, তা এর পরিচালন ব্যয় হিসেবে তার এক দশমাংশের চাইতেও কম খরচ হয়। টাকার অংকে সেটি কত সেটি তিনি উল্লেখ করেননি।

২০১৮ সালের ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টিকে জাতীয় গৌরবের অংশ হিসেবেই দেখা হয়েছিল সে সময়। যেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে স্যাটেলাইট তৈরি এবং উৎক্ষেপণ করা হয়, তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে বলে দাবি করছেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

তবে স্যাটেলাইট থেকে আয় করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণ না হওয়া এবং দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

কারণ হিসেবে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, এটি যখন উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন বাজারে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথের যে দাম এবং সরবরাহ ছিল, সেখানে অনেক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। আর সে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ, যে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারটি ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।

শফিকুল ইসলাম বলেন, এজন্য এখন আমরা দেশের ভেতরে নতুন বাজার মানে, কাজের ক্ষেত্র খুঁজে বের করছি, যাতে এটা লাভজনক করা যায়। দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নিচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী অনেক দেশেরই এখন স্যাটেলাইট আছে, যে কারণে ব্যান্ডউইথের দাম এবং সেবায় প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।

স্যাটেলাইট স্থাপনের সময় যেসব উদ্দেশ্য ছিল, তার মধ্যে প্রধান ছিল দেশের দুর্গম অঞ্চলে যেসব এলাকায় ফাইবার অপটিকাল কেবল নেওয়া যায় না বলে টেলিফোন সার্ভিস বা ব্যান্ডউইথ দেওয়া সম্ভব হয় না, সেসব জায়গায় টেলিযোগাযোগ স্থাপন করা। শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে দেশের ৩১টি দ্বীপে ১১২টি ভিস্যাট স্থাপন করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট যোগাযোগ স্থাপন করা গেছে।

এছাড়া দেশের সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে এখন এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্রডকাস্ট সার্ভিস বা সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৩৩টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল যারা আগে বিদেশি স্যাটেলাইট থেকে ব্যান্ডউইথ নিত, ২০১৯ সাল থেকে তারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নিচ্ছে।

সফলতার আরেকটি উদাহরণ হিসাবে শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, এই স্যাটেলাইটের পরিচালনায় এখন বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাই শতভাগ কাজ করছে। এটা অনেক বড় অর্জন আমাদের, যেহেতু এক্ষেত্রে আমাদের জিরো নলেজ ছিল।

তবে, শুরুতে যেসব খাতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ই-এডুকেশন, ই-লার্নিং, টেলি মেডিসিনের মত খাতের কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে কোভিডের কারণে দেশের প্রাধান্য ছিল মহামারি মোকাবেলা। সে কারণে এসব খাতে কাজ পিছিয়ে গেছে। কিন্তু টেলি মেডিসিন এবং শিক্ষা খাতে খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের জন্য আশা জাগানিয়া প্রকল্প হলেও, সেটি আশানুরূপ সফলতার মুখ দেখেনি বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।

টেলিকম বিশেষজ্ঞ এবং লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইয়িদ খান মনে করেন, আর্থিকভাবে লাভজনক না হতে পারা এবং প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়াই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান ব্যর্থতা। তবে বাণিজ্যিক সফলতা বা অসফলতার চাইতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে জবাবদিহিতার ওপর জোর দেন তিনি।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় না কেন? স্যাটেলাইট থেকে আমরা কত টাকা আয় করেছি, আমাদের অরবিট মানে কক্ষপথের ভাড়া কত, কিভাবে সে অর্থ আমরা পরিশোধ করি সেসব তথ্য কেন জানানো হয় না? এসব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা না থাকলে আর্থিকভাবে সফল হওয়া যাবে না। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে না পারাকেও বড় ব্যর্থতা বলেও মনে তিনি।

আবু সাইয়িদ খান বলেন, স্যাটেলাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান সীমাবদ্ধতা হচ্ছে এটি পরিচালনায় অভিজ্ঞ নেতৃত্বের অভাব, যারা খুঁজে বের করবে প্রতিযোগিতায় কেন আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT