মাদকাসক্ত ভাতিজার হাতে চাচা খুন
ওবায়দুর রহমান রবিবার রাত ১০:০৭, ৯ জুন, ২০২৪
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চাচা আব্দুল বারেক হাদিস (৫৫)কে মারধর করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত ভাতিজা শাকিব উল্লাহ(৩২) ও রাজিবউল্লাহ(২৮) এর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তাতিরপায়া গ্রামে। চাচা আব্দুল বারেক হাদিস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাতে মারা যায়।
এর আগে মারামারির ঘটনায় গৌরীপুর থানায় নিহতের ছেলে আনোয়ার (২০) বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৫, তারিখ- ০৬/০৬/২০২৪ইং।
নিহত আব্দুল বারেক হাদিস মাওহা ইউনিয়নের তাতিরপায়া গ্রামের মৃত শাহনেওয়াজের ছেলে। খুনী শাকিব উল্লাহ (৩২) নিহতের আপন ভাই আব্দুল মোতালেব এর ছেলে।
স্থানীয় ও মামলাসূত্রে জানা গেছে, খুনি শাকিব উল্লাহ’র ভাই রাজিবুল্লাহ (২৮) আনুমানিক ৪ বছর পূর্বে এক সন্তানের জননী আপন চাচাতো ভাই বিল্লাল এর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ও গত ৫মাস পূর্বে ভাই মুনসুর আলী ও চাচাতো বোন সুলেমাকে পিঠিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলো চাচা হাদিস।
প্রতিবাদের ঘটনায় পূর্ব থেকেই শাকিব ক্ষুব্ধ ছিলো চাচার প্রতি। মঙ্গলবার রাতে নিহত ব্যক্তি এশার নামাযের পর তার প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে পুকুর পাড়ে যায়। খুনি শাকিব পুকুর পাড়ে মাছ ধরার কোঁচ নিয়ে বসে নেশা করছিল। হাদিস মিয়া ফিরার পথে সাকিবউল্লাহ তাঁর মুখে অনবরত টর্চ মারতে থাকে। মুখে টর্চ মারার ঘটনার প্রতিবাদ করায় শাকিব তাঁর হাতে থাকা কোচের লাঠি দিয়ে চাচার মাথায়, হাত ও পায়ে বেদম প্রহার করে রক্তাক্ত আহত করে।
এ ঘটনার পর পরিবারের লোকজন হাদিসকে গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানেও তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে আহত হাদিস মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা মাদকাসক্ত খুনি শাকিব উল্লাহর ও তার ভাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায় বলেন, মারামারির ঘটনায় গৌরীপুর থানায় ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। যা বর্তমানে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। ঘটনার মূল আসামী ২ ভাইকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।