মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুলকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ বছরের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি শনিবার রাত ১০:৫১, ১৪ মার্চ, ২০২০
সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন’র কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে আসে জেলা প্রশাসকের মোবাইল কোর্ট। পরে রাত দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মাদক মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রাতেই জেল হাজতে পাঠায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার(১৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার পর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট আনসার সদস্যদের নিয়ে তার শহরের চড়ুয়া পাড়ার বাড়িতে যায়। একপর্যায়ে জোড় পুর্বক দরজা ভেঙে তার ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী সন্তানের সামনেই তাকে মারধর করে ধরে নিয়ে আসে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে এসে তার বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার মিতু জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে খাওয়া শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় হঠাৎ কে বা কারা দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে তারা আমার স্বামীকে মারধর শুরু করে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেও মারতে উদ্যত হয়। তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস বলে ধরে নিয়ে যায়।
সাম্প্রতিক সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম তার ব্যক্তগত ফেসবুক পেজে
“মুজিব বর্ষের প্রাক্কালে কুড়িগ্রামে নিয়োগ বাণিজ্যের জনশ্রতি চলছে!
ঘটনা কি সত্যি?”
এরকম একটি পোষ্ট দেন। সেই পোষ্টে চাকরি প্রার্থী ও সুধি মহল বিভিন্ন ধরনের মতমত প্রদান করেন।
এছাড়াও কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল ইসলাম এ বিষয়েও বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর ইসলাম জানান, আমরা জানতে পেরেছি ডিসি অফিসের লোকজন সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নিয়ে এসে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।