দেশের বৃহত্তম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি মঙ্গলবার রাত ০২:২৫, ২২ মার্চ, ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেসব এলাকায় ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো যাচ্ছে না সেখানে আমরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না, প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত হয়ে উঠবে।
সোমবার (২১ মার্চ) পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের বৃহত্তম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সব স্থানে বিদুৎ সেবা পৌঁছানোর জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশের দুর্গম এলাকায় নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি। আর সেসব এলাকায় ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো যাচ্ছে না সেখানে আমরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না, প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত হয়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ২১ বছর এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা সবসময় দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যায়, কিন্তু বাংলাদেশ সবসময় পিছিয়ে যাচ্ছিল। (৯৬ সালের আগে) ২১টা বছর এবং এরপরে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কোনও আন্তরিকতাই তাদের ছিল না; এটাই হচ্ছে এদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকার গঠন করি। সেসময় বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, সামান্য কিছু লোক বিদ্যুৎ পায়, গ্রামে গ্রামেতো বিদ্যুৎ ছিলই না। আমরা উদ্যোগ নিলাম, শুধু সরকারি না, বেসরকারি খাতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাব। ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম, ৫ বছরের মধ্যেই আমরা ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলাম। দুর্ভাগ্য আবার ২০০১ এ সরকারে আসতে পারিনি। ২০০৯ এ যখন সরকার গঠন করি তখন দেখলাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে নেমে গেছে বিদ্যুৎ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে যাচ্ছি। ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনা করা আছে। এ ছাড়া ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের দেশ এগিয়ে যাক। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব এটাই আমাদের লক্ষ্য। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ।