ঢাকা (সকাল ৬:০৪) শুক্রবার, ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News লোহাগড়ায় নানা কর্মসূচী পালনের মধ্যদিয়ে কালিপূজা অনুষ্ঠিত Meghna News লোহাগড়ায় মৃত পুলিশ সদস্যের গাছ কেটে নিলো দূর্বৃত্তরা Meghna News হোমনা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে সোয়া লক্ষ টাকার ফেনসিডিল উদ্ধার, ভারতীয় ট্রাক জব্দ Meghna News চুরির অপরাধে দুই সহোদরকে হত্যা করলো উত্তেজিত জনতা! Meghna News শ্রীপুরে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেফতার ৩ Meghna News নিসচা’র ইতিহাস বদলে ফেলার অপচেষ্টার প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রদান Meghna News সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলোতে মাস শেষে তীব্র যানজট Meghna News সিলেটে ভারতীয় চোরাই চিনি কান্ডের অন্তরালে কে এই সাইফুল! Meghna News লোহাগড়া পৌর বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে স্বেচ্চাসেবক দলের ফুলেল শুভেচ্ছা

কোভিড-১৯ প্যান্ডোমিকে অনার্সের শিক্ষার্থী এখন ইফতার বিক্রেতা

ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ Clock বৃহস্পতিবার রাত ১০:৫৩, ২২ এপ্রিল, ২০২১

রাজধানীর ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম আলম (২২)। অভাবের তাড়নায় কলেজের হলে থেকে টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ যোগাতেন। করোনার প্রকোপে বন্ধ হয়ে যায় কলেজ ও হল। চলে যায় তার টিউশনিটাও। অর্থকষ্টে বাড়ি ফিরে শামীম আইটি ব্যবসা শুরু করলে বন্ধ হয় সেটাও। এমন অবস্থায় জীবিকার তাগিদে রমজান মাসে গ্রামে ইফতারের দোকান দেয় শামীম।

শামীমের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মাওহা ইউনিয়নের নহাটা গ্রামে। তার বাবা হাবিব উল্লাহ গ্রামের দরিদ্র কৃষক। চার ভাই- বোনের মধ্যে শামীম বড়। তার দুই বোন স্থানীয় স্কুলে নবম ও নার্সারিতে অধ্যয়ন করছে। ছোট ভাই ময়মনসিংহে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতো। সম্প্রতি করোনায় কাজ খুঁইয়ে সেও এখন বাড়ি এসেছে।

মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষার্থী শামীমের দেখা মিলে নহাটা বাজারে।সেখানে রাস্তার ধারে টেবিলে ইফতারের পসরা নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষা করছেন তিনি। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা প্রসঙ্গে নিজের ইফতার বিক্রেতা হওয়ার গল্পটা বের হয়ে আসলো শামীমের মুখ থেকেই।

তিনি বলেন ‘অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর অভাবের তাড়নায় বাবা পড়াশোনার খরচ দিতে পারত না। তাই খরচ যোগাতে ৮ হাজার টাকায় দুটি টিউশনি শুরু করি। কিন্তু করোনায় কলেজ বন্ধের পাশাপাশি টিউশনিও চলে যায়। অর্থকষ্টে বাড়ি ফিরলেও সংসারে অভাবের তাড়নায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটত। কিছু ত্রাণ সহযোগিতা পেলেও সেটা চাহিদার তুলনায় খুব কম। তাই জীবিকার তাগিদে এই পেশায় আসা। তবে সংকট কেটে গেলে পড়াশোনা করতে ফিরে যাবো রাজধানীতে’।

গত বছর করোনাকালে রাজধানী থেকে বাড়ি আসে শামীম। বাবার একার আয়ে সংসার না চলায় একটি কম্পিউটার ক্রয় করে গ্রামে আইটি ব্যবসা শুরু করেন। সেখানে চাকরির আবেদন, শিক্ষার্থীদের ভর্তি, লেখা কম্পোজ, প্রিন্ট সহ বিভিন্ন কাজ করা হত। করোনায় কাজ না থাকায় এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। অবশেষে পরিবারের কাছ থেকে ২৭০০ টাকা নিয়ে রমজান মাসে ইফতারের দোকান দেন শামীম।

শামীমের স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে ব্যাংকার হবে। তবে করোনায় স্বপ্নের ছন্দপতন ঘটায় এখন সে ইফতার বিক্রেতা। তা

র দোকানে ইফতার খাবারের মধ্যে রয়েছে ছোলা, মুড়ি, বুন্দিয়া, পেয়াজু, বেগুনি। এগুলো শামীম নিজেই বাড়িতে তৈরি করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। প্রতিদিন তার দোকানে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মতো বিক্রি হয়। এতে লাভ হয় ৩০০ টাকার মত।

শামীমের সাথে কথা বলতে বলতে বিকালের বেলা সন্ধ্যায় গড়ায়। ঘনিয়ে আসে ইফতারের সময়। দোকানে ভীড় বাড়তে থাকে ক্রেতারা। ইফতার নিতে আসা এক ক্রেতা শামীমকে বলে ‘কি ছোট ভাই বাইরে দোকান নিয়ে বসছো, করোনায় ভয় করে না’। মৃদু হেসে শামীম জবাব দেয় ‘ভয় করে, তবে সেটা ক্ষুধার চেয়ে বেশি না। পেট তো আর করোনা মানে না। একটা কিছু তো করে খেতে হবে’।



শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT