ইজতেমায় জুমার নামাজে লাখো মুসল্লির ঢল
নিজস্ব প্রতিনিধি শুক্রবার রাত ০৯:৪৭, ১০ জানুয়ারী, ২০২০
কেউ দাঁড়িয়েছেন ইজতেমা ময়দানে। কেউ সড়কে, কেউবা বাড়ির ছাদে। সবাই তৈরি। বেলা পৌনে দুইটায় কানে ভেসে এল আল্লাহু আকবর ধ্বনি। নিয়ত করে হাত বেঁধে ফেললেন সবাই। কিছুক্ষণ পিনপতন নীরবতা। এরপর ভেসে এল কেরাতের মধুর সুর।
এভাবেই আজ শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেছেন বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে হাজির মুসল্লিরা। এ সময় টঙ্গীর তুরাগ নদের তীর, আশপাশের সড়ক ও অলিগলি ভরে যায় লাখো মুসল্লিতে। সবার সিজদাবনত মস্তক তখন মহান আল্লাহর কৃপাপ্রার্থী। নামাজের পর আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দানসহ চারপাশ।
আজ সকালে পাকিস্তানের মাওলানা মো. খোরশেদ আলমের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়। বেলা দেড়টার দিকে মাইকে আসে জুমার নামাজের ঘোষণা। ঘোষণা শুনে মুসল্লিদের মাঝে শুরু হলো ব্যস্ততা। বেলা পৌনে দুইটায় সবাই দাঁড়িয়ে পড়লেন কাতারে। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা জুবায়ের।
ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে দুদিন আগে থেকে মাঠে আসতে থাকেন মুসল্লিরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের অংশগ্রহণে কানায় কানায় ভরে ওঠে ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশ। আজ জুমার নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য আরও বিপুলসংখ্যক মুসল্লি মাঠে সমাগম হন।
সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, নামাজে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা প্রথমে মূল ইজতেমা মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভেতরে জায়গা না পেয়ে তাঁরা রাস্তায় অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তাঁরা নামাজ আদায় করতে সড়কের ওপর জায়নামাজ, চট, পাটি, কাগজ ইত্যাদি বিছিয়ে বসে পড়েন।
নামাজ শুরু হওয়ার আগে কথা হয় কয়েকজন মুসল্লির সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে একজন রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর থেকে আসা মো. মৃদুল হাসান। তিনি বলেন, প্রতিবছর লাখো মুসল্লির সঙ্গে শরিক হয়ে নামাজ পড়তে পারার আনন্দ অন্য রকম।
মাহাদি আল ফারদিন নামের এক তরুণ বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার মতো সমাবেশ আমাদের দেশে হয়, এটা আমদের জন্য গৌরবের। আমি প্রতিবছরই এতে অংশ নিই।’
রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা। এতে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি।