এবারের বছরের শেষ দিনে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা
নিজস্ব প্রতিনিধি শুক্রবার সন্ধ্যা ০৭:০৩, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
গত ৩০ বছরের তুলনায় এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল বলে বিগত বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে।
বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর সবচেয়ে কম ঠাণ্ডা পড়েছে। গত ৩০ বছরের তুলনায় এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল বলে বিগত বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে রাজধানীতে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা ছিল, যা দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বিগত ৩০ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা ১-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকা, প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ কম থাকা এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য বেশি থাকায় রাজধানীতে শীত কম অনুভূত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সামনের সপ্তাহে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে ঢাকায় শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডতে। এছাড়া, রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে, হিমালয়ের ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করায় রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ এবং মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলের ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করায় সিলেট অঞ্চলে তীব্র শীত পড়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৮১%। দুপুরের পর তা কমে ৭২% হয়েছে। অন্যদিকে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ গড়ে ৬০% থেকে ৪০%-এর মধ্যে ছিল।