সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানি কারক গ্রুপের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রবিবার রাত ০৯:৩৭, ৫ মার্চ, ২০২৩
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শুল্ক স্থল বন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ
শুল্ক স্থল বন্দরের আমদানী ও রপ্তানী কারক গ্রুপের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন
সম্পন্ন হয়েছে শনিবার। এতে সবুজ ব্যবসায়ী স্মার্ট প্যানেলকে পরাজিত করে
শাহাবুদ্দীন-রশীদ প্যানেল বিজয় লাভ করেছে। শনিবার রাতে নির্বাচন পরিচালনা
বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।
তবে এই ফলাফল প্রত্যাখান করে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হবেন বলে রাতেই
জানিয়েছেন সবুজ ব্যবসায়ী স্মার্ট প্যানেলর সদস্যবৃন্দ।
এ সময় নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা
বলেন, ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে কাজী মো. শাহাবুদ্দীন ও মাওলানা মো.
মামুনুর রশীদ এর প্যানেলের ১৫ জন এবং সবুজ ব্যবসায়ী স্মার্ট প্যানেলের ২
জন নির্বাচিত হয়েছেন। তবে কি কারণে বিপরীত প্যানেল ফলাফল বর্জণের ঘোষণা
দিয়েছেন তা আমরা অবগত নই।
নির্বাচনে হায়দার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মাওলানা মামুনুর
রশীদ ছাতা প্রতীকে সর্বোচ্চ ১১৪ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন আর আল মদিনা
ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকার মো. দেলোয়ার হোসেন চশমা প্রতীকে ১১২ ভোট পেয়ে
হয়েছেন দ্বিতীয়। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে মো. আকতার হোসেন পেয়েছেন ঘোড়া
প্রতীকে ১০৬ ভোট, মো. সাঈদী হাসান কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১০৬ ভোট, মো. মাসুদ
রানা হাত-পাখা প্রতীকে ১০২ ভোট, মো. আলমগীর জুয়েল সিলিং ফ্যান প্রতীকে
১০১ ভোট, কাজী মো. শাহাবুদ্দীন দোয়াত-কলম প্রতীকে ১০০ ভোট, মো. আসাদুল হক
ঘুড়ি প্রতীকে ১০০ ভোট, মো. সাহিনুল ইসলাম গরুর গাড়ি প্রতীকে ৯৮ ভোট, মো.
শফিকুল ইসলাম তাজেল তাল গাছ প্রতীকে ৯৬ ভোট, মো. আরিফ হোসেন সূর্য
প্রতীকে ৯৩ ভোট, মো. রবিউল ইসলাম কবুতর প্রতীকে ৯০ ভোট, মো. নুর আমিন
আনারস প্রতীকে ৮৯ ভোট, মো. জাইদুল ইসলাম হাঁস প্রতীকে ৮৭ ভোট, কামাল
আহমেদুজ্জোহা টেবিল ফ্যান প্রতীকে ৮৬ ভোট, মো. যুবরাজ আলম মানিক প্রজাপতি
প্রতীকে ৮৫ ভোট, মো. মিজান সাহেব হারিকেন প্রতীকে ৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত
হয়েছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সোনামসজিদ আমদানি ও
রপ্তানি কারক গ্রুপের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে দুইটি প্যানেলে মোট ৩৪ জন ও
প্যানেল ছাড়া ৬ জন মোট ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সোনামসজিদ
আমদানি ও রপ্তানি কারক গ্রুপের ১৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ১৭৪ জন ভোট প্রদাণ
করেন।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই তা প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ আদালতের
সরণাপন্ন হবার ঘোষণা দেন সবুজ ব্যবসায়ী স্মার্ট প্যানেলে অংশগ্রহণকারী
সদস্যরা। লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন শুরুর প্রথম
দিকে ভোট গ্রহণ সঠিক থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সবুজ ব্যবসায়ী স্মার্ট
প্যানেলে ভোটারদের ভোট প্রদাণ বিঘœ করতে বিপক্ষ প্যানেল ছলচাতুরীর আশ্রয়
নেয়। তারা নির্বাচন কমিশনকে ম্যানেজ করে ভোটার নন এমন প্রার্থীদেরকেও ভোট
প্রদাণে সহায়তা করেছে, সদস্যকার্ড বা ভোটারকার্ড বা আইডিকার্ড চেক না
করেই অনেককে ভোট দিতে দেখা গেছে, গণনা শুরুর আগেই রেজাল্ট সীটে জোড় করে
এজেন্টদের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে এবং আমাদের প্যানেলের নির্বাচিতদের ফলাফল
পরিবর্তণ করে বিপরীত দলকে জিতিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই সবুজ ব্যবসায়ী
স্মার্ট প্যানেলের সদস্যরা এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ
আদালতে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে বিজয়ের পরপরই আলহাজ্ব মাওলানা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আমদানী ও
রপ্তানী কারকদের স্বার্থে যা যা করা দরকার এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ
রক্ষার্থে প্রয়োজনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের
সাথে আলোচনা করে রাজস্ব বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।