সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আলমগীর কবীর আর নেই
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) সোমবার দুপুর ০১:৩০, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মপাশা গ্রামের বাসিন্দা, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি আলমগীর কবীর (৫৫)করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত ২১আগস্ট তাঁর শরীরে কোভিড ১৯ধরা পড়ে।এর আগে বেশ কিছুদিন ধরে তিন জ্বর সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মপাশা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর কবীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২১আগস্ট রাতে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার রাত ১১টা বাজে ৪০মিনিটের সময় তিনি মারা যান। এর আগে গত ১৯জুলাই একই ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ নিয়ে উপজেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ জন।এদের মধ্যে ৩২ জন সুস্থ হয়েছেন। সাতজন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন আর দুইজন মারা গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ঝন্টু সরকার বলেন,উপজেলায় আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলমগীর কবীর করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।খবরটি সিভিল সার্জন মহোদয়কে জানিয়েছি। এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪১জন।এদের মধ্যে ৩২জন করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন। দুই জন মারা গেছেন আর সাতজন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। বিষয়টি সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মহোদয় ও ইউএনও সাহেবকে জানিয়েছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য শামীম আহমেদ কান্ঠাজড়িত কন্ঠে বলেন, আলমগীর কবীর আওয়ামীলীগের ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা কখনো পূরণ হবার নয়। তিনি স্ত্রী,দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ধর্মপাশা গ্রাম জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।