সাঘাটায় মাদ্রাসা সুপার সাময়িক বরখাস্ত
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা শুক্রবার রাত ১১:২৮, ১৩ মে, ২০২২
জালিয়াতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা ওসমানের পাড়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা এনামুল হককে সুপার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন বিজ্ঞ আইনজীবিসহ মাদ্রসা পরিচালনা কমিটির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাগজ পত্র সৃজন, অবৈধ উপায়ে কমিটি গঠন, শিক্ষক নিয়োগ, মাদ্রাসার টাকা আত্বসাৎসহ নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে গত ৩০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মাদ্রসা কমিটি তাকে সুপার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এর আগে তার (সুপার) সৃষ্ট অবৈধ কমিটি,অবৈধ-ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে মাদ্রাসার কোনো প্রকার কাজ সম্পন্ন করতে না পারে এ জন্য নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে গত ২৮ এপ্রিল গাইবান্ধা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত ওসমানের পাড়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা এনামুল হক অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি গাইবান্ধা জজকোর্ট এর সিনিয়র আইনজীবি সাবেক পিপি এ্যাড.শফিকুল ইসলামসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করেন এবং তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিলের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে মাদ্রাসায় ২ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করেন।
এছাড়াও একই উপায়ে কমিটির মেয়াদত্তীর্ণ না হতেই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি পরিবর্তন, ব্যাংক থেকে মাদ্রাসার গচ্ছিত টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎসহ নানা ধরণের অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গোপনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে সভাপতি সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ সুপার এনামুল হকের কাছে জালিয়াতির ব্যাপারে জানতে চান। কিন্তু সুপার সদত্তর না দিয়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।
পরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে স্বাক্ষর জালের অপরাধে সুপার এনামুল হকের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পেরণ করে।
উল্লেখ্য এর আগেও ২০০০ সালে একই ধরণের অপরাধে ততকালীন মাদ্রাসা সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপার এনামুল হককে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসা করে তাকে সুপার পদে (চাকুরিতে) পূনবহাল করা হয়েছিলো।