শরিফ হত্যার মুল আসামী ঘাতক বন্ধু গ্রেফতার
মোঃ জাকির হোসেন,মৌলভীবাজার সোমবার বিকেল ০৪:৩৯, ১৯ জুলাই, ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কলেজ রোডে বন্ধুর হাতে খুন হওয়া নিহত শরীফের ঘাতক বন্ধু সজিবকে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
(১৮ জুলাই) রোববার দিবাগত রাত ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন এলাকা থেকে সজীবকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত শরীফ মৃত্যুর আগে তার খুনী তারই বন্ধু সজীবের নাম প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানায়। নিহত শরীফ শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাহজীবাজার এলাকার শায়েস্তা মিয়ার ছেলে।আহত অবস্থায় শরীফ তার নাম পরিচয় এবং খুনির নাম প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের কাছে প্রকাশ করে যায়, যা মুহুর্তের মধ্যে ফেইসবুক ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এসময় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা আহত শরীফকে উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিস ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শরীফ মৃত্যুর আগ মুহূর্তে বন্ধু সজিব তাকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানায়। শরীফের এ জবানবন্দির সূত্র ধরেই সজিবকে গ্রেপ্তার অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনার ৩১ ঘন্টার মাথায় ঘাতক সজীবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন এলাকা থেকে সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে সজীব ট্রেনযোগে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিলো।শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,নিহত শরীফের একটি দামী মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে বন্ধু সজিব সেটি চুরি করেছে এমন ধারণা থেকে দুই বন্ধুর মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।ঘটনার দিন ১৭ জুলাই শনিবার দুপুরে তারা আপোষ মীমাংসা করার জন্য শহরের একটি হোটেলে রূম ভাড়া করে সেখানে মদ্যপান করে।কিন্তুু সেখানে বিবাদ মিমাংসা না হওয়ায় ঐ দিন সন্ধ্যায় দুই বন্ধু কলেজ রোড প্রেসক্লাব সম্মুখে আবারো বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয়ে উত্তেজিত হয়ে পরস্পরকে আক্রমন করার চেষ্টা করলে সজিব শরীফের বুকে ছুরি বসিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেলে শরীফ ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রত্যক্ষ্যদর্শী পথচারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী শরীফকে মাটিতে পড়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের একটি টিম এসে শরীফকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।