লকডাউনেও রাজধানীতে তীব্র যানজট ভোগান্তি
ডেক্স রিপোর্ট মঙ্গলবার দুপুর ০২:৫০, ৬ এপ্রিল, ২০২১
লকডাউনেও তীব্র যানজট রাজধানীতে। দুই একটি সড়কে যান চলাচল কম থাকলেও অধিকাংশ এলাকায় যানবাহনের চাপ বেশি। অলি-গলিতে খুলেছে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। কারণ ছাড়াও রাস্তায় বের হচ্ছেন মানুষ। সকাল থেকে রামপুরা, গুলশান, প্রগতি সরণি ও ধানমন্ডি এলাকায় যানবাহনের চাপ দেখা যায়। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট কারে চলাচল বেশি।রাস্তায় সিএনজি ও রিকশার সংখ্যাও বেড়েছে।
রাস্তায় বের হওয়া মানুষের দাবি, অধিকাংশ জায়গায় অফিস খোলা তাই বের হতে হচ্ছে তাদের। প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচল ঠেকাতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থানও কঠোর নয়।
তবে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সংশ্লিষ্টদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া যারা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। ফলে গতকাল সোমবারের তুলনায় আজ মঙ্গলবার সড়কে যান চলাচল কম।
বেলা ১১টায় মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সামনে দেখা যায়, সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং অটোরিকশার জটলা লেগে আছে। এর মধ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশাগুলো যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। আর অটোরিকশাগুলো প্রধান সড়ক থেকে যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গলিতে যাচ্ছে।
অটোরিকশা চালক সাহেদ আলী বলেন, ‘সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও সড়কে যাত্রী কমেনি। আর বসে থাকলে তো কেউ ঘরে গিয়ে খাবার দিয়ে আসবে না। তাই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।’
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিপরীত পাশে মহাখালী পুলিশ বক্সের সামনে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ওইপাশ দিয়ে কোনো রিকশা-অটোরিকশা চলতে গেলেই গতিরোধ করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তারা রিকশার হাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন। কিছুক্ষণের জন্য রিকশা উল্টে রেখে চালককে শাস্তি দিচ্ছেন। তবে পাশ দিয়ে সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও সেগুলো আটকাতে দেখা যায়নি।
রাজধানীর তেজগাঁও, ফার্মগেট, বিজয় স্মরণী, রমনা, বাংলামোটর, শাহবাগ এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।
তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সার্জেন্ট জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তারা সকাল থেকেই সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে যাত্রীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে অফিস এবং হাসপাতালগামী যাত্রীর অজুহাত বেশি পাওয়া যাচ্ছে।