রাজারহাটে আগ্রহ বাড়ছে খাঁচায় মাছ চাষ
রমেশ চন্দ্র সরকার,রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) বুধবার বিকেল ০৪:৩৬, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুরহেলান গ্রামের তিস্তা নদীর তীর ঘেষে খাঁচায় মৎস্য চাষ করে লাভবান হচ্ছেন মৎস্যচাষীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যানন্দ খাঁচায় মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি লিঃ এর ২০ জন সদস্য যৌথভাবে তিস্তা নদীর তীরে মুক্ত পানিতে খাঁচায় তেলাপিয়া মাছ চাষ করেছেন।
রঙ্গিন জাল বেষ্টিত প্লাস্টিকের ড্রাম, বাঁশ ও লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট খাঁচা। খাঁচার ভিতরে চাষ করা হচ্ছে হাইব্রিড তেলাপিয়া মাছ। সমবায় অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে গত বছর পরিক্ষামূলক তেলাপিয়া মাছ খাঁচায় চাষ করেন সমিতির সদস্যবৃন্দ। প্রথমবার পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা না থাকায় জাল ছিড়ে অনেক মাছ নদীতে চলে যায়। তাছাড়া খাঁচার সংখ্যা কম থাকায় তেমন লাভ করতে পারেনি।
এবার বছরের শুরুতে সমিতির সভাপতি ফৈজুর রহমান রাজারহাট উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের নিকট সরকারি সহায়তার জন্য আবেদন করলে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয় সমিতিকে। এছাড়াও ১২.৫ মণ তেলাপিয়া মাছের পোনা ও মাছের খাদ্য হিসেবে ২ টন ফিড সমিতিকে দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ২০টি খাঁচা তৈরি করে মাছ চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
সমিতির সভাপতি ফৈজুর রহমান জানান, আটষট্রি হাজার টাকা দিয়ে আমরা যাত্রা করি। বর্তমানে সরকারী সহায়তা পেয়ে আমরা দারুণ উপকৃত হয়েছি। এবছর মাছ বিক্রি করে দুই লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুল আলম জানান, আমি খাঁচায় মৎস্যচাষ পরিদর্শনে কয়েকবার গাবুর হেলানে গিয়েছি,ওখানে আমি মৎস্যচাষীদের মধ্যে একটা সম্ভবনা দেখতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে আমার দপ্তর থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, সাড়ে ১২ মণ তেলাপিয়া মাছের পোনা ও মাছের খাদ্য হিসেবে ২ টন ফিড সরকারী সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সমিতির ২০টি পরিবার যাতে খাঁচায় মৎস্যচাষ করে সাবলম্বী হতে পারে সে বিষয়ে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সব ধরনের সহযোগীতা করার চেষ্টা করবো।