যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৬:৫৩, ৯ জুন, ২০২২
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেছেন, তাতে বিভিন্ন পণ্যের সম্পূরক শুল্ক, আমদানি শুল্ক অথবা মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) কমানো হয়েছে। এতে এসব পণ্য আমদানিতে ব্যয় কমতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে।
যেসব পণ্য বা সেবার দাম কমতে পারে—
রেস্তোরাঁয় খাবার
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ও নন-এসি রেস্তোরাঁর ওপর ভ্যাট হার যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ এর পরিবর্তে উভয় ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে তিন তারকা বা তদূর্ধ্ব মানের হোটেলে অবস্থিত রেস্তোরাঁয় এ ছাড় নেই।
হুইল চেয়ার
শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে হুইল চেয়ারের দাম কমতে পারে।
কাজু বাদাম
কাজু বাদামের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মুড়ি ও চিনি
পণ্য দুটির ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
পোলট্রি ও গোখাদ্য
হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খাবার তৈরির উপকরণে কর ছাড় দিয়েছে সরকার। এতে এসব পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমতে পারে।
রড
বিভিন্ন প্রকার এম এস প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান সুনির্দিষ্ট করের পরিমাণ প্রতি ক্ষেত্রে টনপ্রতি ২০০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট টন প্রতি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
টাওয়েল
হ্যান্ড টাওয়েল/পেপার টাওয়েল/ক্লিনিক্যাল বেড শিটের উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
পয়ঃশোধনাগার
দেশের পরিবেশকে টেকসই ও দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে অনেক পয়ঃশোধনাগার (এসটিপি) স্থাপন করা হচ্ছে এবং দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে জানিয়ে এর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এত দিন আমদানি শুল্ক ছিল ২৫ শতাংশ।
কাঠের বাড়ি
কাঠের প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড ঘর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
অন্যান্য
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বাল্কে (একত্রে বিপুল পরিমাণে) বিক্রির উদ্দেশ্যে, বাল্কে কেনার ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ের ক্রয়ে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। সুতার ভ্যাট কমানো হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের পড়ার উপকরণ ব্রেইল মুদ্রণের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারির ওপর প্রযোজ্য শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।