ঢাকা (রাত ৩:০৭) বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


মুড়িয়া হাওর অঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলন : কৃষকের মুখে হাঁসি!

মুড়িয়া হাওর অঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলন : কৃষকের মুখে হাঁসি
ছবিঃ মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock সোমবার দুপুর ০২:৫৪, ৪ নভেম্বর, ২০১৯

মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, মুড়িয়া হাওর অঞ্চল, বিয়ানীবাজার সিলেট ঘুরেঃ সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া হাওরে আট বর্গকিলোমিটার ভূমি রয়েছে, এ অঞ্চলে প্রায় ১৫হাজার ৭৯ হেক্টর জমি চাষাবাদ করা হয়, ধানের বাম্পার ফলন ,বিয়ানীবাজার উপজেলার চার টি ইউঃপি জুড়ে মুড়িয়া হাওরের অবস্হান (১মুড়িয়া ২দুবাগ৩শেওলা৪কুড়ার বাজার)।

মুড়িয়া হাওরে ভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতান, বড় বড় মাছের নিরাপদ বাসস্থান মুড়িয়ার বিলে, চতুর দিগে রয়েছে, ফসলি জমি। অনেক সময় মুড়িয়ার হাওরে ধান হয় না প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এর মধ্যে খরা ও বন্যা প্রধান সমস্যা। কিন্তু এ বছর সম্পূর্ন ব্যতিক্রম, সময় সময় বৃষ্টি আল্লাহ দেওয়ার কারণে, হাওরের উপরিভাগে খুব ভালো ধানের ফলন ঘরে নিয়ে আসার সম্ভাবণায় কৃষক।

দুবাগ ইউনিয়নের কৃষক মকসুদ আহমদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন সরকার যদি মুড়িয়া হাওরের ছোট ছোট খাল গুলো খনন করে গভীর নলকূপ স্হাপন করতো তাহলে আমন ধানের জমি গুলিও বরো মৌসুমে চাষাবাদ করা যেত। তবে এই বছর আবহাওয়া ভালো, আমরা জমি চাষাবাদ করছি ও ফসলের পরিচর্যা করেছি সময় সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানে ভালো মুকুল দিচ্ছে।

শেওলা ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালামকে জিঞ্জাসাবাদ করলে তিনি বলেন, সরকার মুড়িয়া হাওর বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তাহা যদি বাস্তবায়ন করতো তাহলে বরো আমন ধান আরো বেশী চাষাবাদ হতো। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবী জানাচ্ছি সিলেট ৬আসন (গোলাপগঞ্জ—বিয়ানীবাজার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মোঃনুরুল ইসলাম নাহিদ এম পি মহোদয়কে দ্রুত মুড়িয়া হাওর উন্নয়ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার ব্যাবস্হা করুন। আমরা কৃষকগণ বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে উচ্চ ফলনশীল বীজ রোপন করেছি আশা ভাল ফলন পাবো।

মুড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক পূর্ব মুড়িয়া নওয়াগ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সুনাই নদীর ভাঙ্গনে জমি হতে যাচ্ছে বিলীন অপর দিকে ভারতে দখল করে নিছে জমি।আমাদের গ্রামের যে পরিমাণ জমি আছে সে পরিমান জমির ফসল আমরা যদি সঠিক ভাবে উত্তোলণ করতে পারতাম, তাহলে খাদ্যে অভাব দেখা দিতো না।

সারপার জিসি নওয়াগ্রাম বর্ডার গার্ড টু গজুকাটা সেওলা সেতু রোডের মধ্যখানে বক্স কালর্ভাট গুলোতে যদি সুইচ গেইট স্থাপন করা হতো তাহলে ভারত থেকে আসা পানি আমাদের ফসলি জমির ফসল নষ্ট করতে পারতো না। পরিমাণ মতো পানি সেরে বরো মৌসুমেও সব জমি আবাদ করা যেতো। তবে, এই বছর রোগ বালাইও বড় বন্যা না থাকায় ধানের ভালো ফলনের আশাবাদী।
মুড়িয়া হাওর অঞ্চলে যে সব ধানের চাষাবাদ করেছে কৃষক রন্তিত, বাদাল, বিরইন, ইরি২৯, ইরি২২, ইরি২৮, চিনি গুড়া, কাটরি, জড়িয়া ইত্যাদি ধান।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT