ভোলায় সাত জ্বিনের বাদশা সিআইডির খাচায়
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার রাত ১১:২৯, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
ভোলা প্রতিনিধি: সকল সমস্যা সমাধানের নাম করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ৭ জ্বিনের বাদশাকে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)’র একটি টিম।বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সুমন ফকির (২০), মো. মুনসুর আহমেদ (২৫), মো. হাছনাইন ফকির (২০), মো. হাবিবুল্লাহ (৩২), মো. লোকমান ভূঁইয়া কাজী (২৭), মো. রিয়াজ উদ্দিন (৩৪) (বিকাশ এজেন্ট) ও মো. ফজর আলী জোমাদার বাড়ি (৩৬)।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল বলেন, ভুক্তভোগী শাহিনা আক্তার একটি মাধ্যমে নম্বর পান। যে নম্বরে ফোন দিলে সব সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে বলা হয়। তিনি ওই নম্বরে ফোন করেন এবং ফোন করলে তাকে বলা হয় আমাদের সেবা নেওয়ার আগে দুই হাজার ১০০ টাকা দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। শাহিনা তাদের কথামতো রেজিস্ট্রেশন করেন। এরপর জ্বিনের বাদশা টেলিফোনে হাজির হন। এরপর ভুক্তভোগীর এক একটি সমস্যার কথা শোনেন এবং এক একটি সমস্যা সমাধানের জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, টাকা দাবির পর ৭টি বিকাশ নম্বর ভুক্তভোগীকে দেওয়া হয়। ৭টি নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে ৩ মাসে ভুক্তভোগী ওই নারী ২৫ লাখ টাকা দেন। টাকা দেওয়ার পর আরও টাকার জন্য প্রতিবেশীর কাছে ধার চাইতে গেলে বিষয়টি তখন ওই নারীর ছেলে জানতে পারে। এরপর তারা হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে জ্বিনের বাদশার সন্ধান পাওয়া যায় ভোলায়। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া কথা স্বীকার করেছেন।