ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ,শুধু বাকী আছে প্রাণহানি
সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম রবিবার সন্ধ্যা ০৭:৩৮, ১১ অক্টোবর, ২০২০
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নে সংস্কারের অভাবে একটি ব্রিজের ঢালাই ভেঙে পড়েছে। পথচারীদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজটি।
জানা গেছে, প্রায় আট মাস পূর্বে অতিরিক্ত পরিমান মালামাল বোঝাই ট্রাক্টরের ভারে ওই ব্রিজটি ভেঙে যায়। এর পরও পণ্য বোঝাই ট্রাক্টর মিনি ট্রাক চলাচল করায় আরো ব্রিজটির ঢালাই ভেঙে যায়।সংস্কারের অভাবে সেতুটি জটিল আকার ধারণ করেছে।
বর্তমানে ব্রিজটির উপর দিয়ে বাই-সাইকেল,মোটর সাইকেল,পণ্য ও যানবাহী, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, ঠেলাগাড়ী ও ভ্যানসহ সব বাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।মিনি ট্রাক ও ট্রাক্টর চালকরা অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করাই এই দুর্ভোগের কারণ বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধামশ্রেণী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাকচির খামার আবু সুফিয়ান ইউপি সদস্যর বাড়ীর সামনে ধামশ্রেণী ইউনিয়ন পরিষদ হতে উলিপুর বাজার পর্যন্ত চলাচলের পাকা সড়কে অবস্থিত ব্রিজটির মাঝখানে ঢালাই ভেঙে রড বেড় হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নেই কোন সর্তকতা চিহ্ন। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে যে কোন মহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা। ঘটতে পারে প্রাণহানি। ব্রিজটি যেন পথচারীদের জন্য এখন মরণ ফাঁদ।
ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েক মাস হয় ব্রিজটি ভেঙে গেছে। কিন্তু মেম্বার, চেয়ারম্যান দেখেও যেন না দেখার ভান করছেন। রাতে ওই ব্রিজটি ভেঙে যাওয়া গর্তে পরে অনেকের হাত- পা ভেঙ্গে গেছে। এখন শুধু বাকী আছে প্রাণহানি।
স্থানীয়রা দাবী জানিয়ে, ব্রিজটি দ্রুত মেরামত না করলে বড় ধরনের র্দূঘটনা ঘটতেই পারে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান বলেন, ব্রিজটি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি এবং তাঁরা পরিদর্শন করে গিয়েছে আশা করি খুব দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কে কে এম সাদেকুল আলম বলেন,গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটির অবস্থা খুবই বেহাল। শিগগিরই ওই সড়কে নতুন করে একটি পাকা ব্রিজটি নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত এর নির্মাণকাজ আরম্ভ করা হবে।