ঢাকা (সন্ধ্যা ৭:৪৪) বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News দাউদকান্দিতে দুই ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আমীরের শপথ গ্রহণ Meghna News সুশিক্ষিতরাই জাতিকে আঁধার থেকে আলোর পথে নিয়ে যায় : আব্দুস সাত্তার Meghna News গৌরীপুরে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধনে কারামুক্তি ও চাকুরি প্রাপ্তির দাবী Meghna News গৌরীপুরে অগ্নিকান্ডে অবৈধ তেলের গোডাউনসহ বাসাবাড়ি-দোকানপাট ভস্মিভূত Meghna News চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ Meghna News আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় মানুষের ঢল, যা বললেন আজহারী Meghna News ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ’ Meghna News ইসকন জ-ঙ্গিদের হাতে আইনজীবী সাইফুল খুন : সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর চোখেমুখে ঘোর অমানিশা Meghna News জমাদিউস সানি মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত!

পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ফুঁ কালং,ফুলবারেং

অন্যান্য ২৮০৮ বার পঠিত

সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,বান্দরবান সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,বান্দরবান Clock বৃহস্পতিবার রাত ০১:৩১, ১২ আগস্ট, ২০২১

পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাহাড়িদের ঐতিহ্য জিনিস পত্র। তার মধ্যে অন্যতম হল ফুঁ কালং বা ফুল বারেং। এখন বতর্মান সময় আধুনিক যুগে প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যাপক হারে ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে বাঁশের বেত দিয়ে তৈরি করা এইগুলো হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম অঞ্চলে। আজকাল যদি কম বয়সের লোকদের দেখানো হয় বা বলা হয়, কি বলব্‌ জানিনা।জানবেন বা কি করে।আন্দাজে কি বলবে।তাই সবার মনে জানবার ইচ্ছাজিগাংসা।

এই ঝুড়ি ছোট্ট কাপড়টি হচ্ছে,পাহাড়ীদের হারিয়ে যাওয়া, লুকায়িত বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতি ঐতিহ্য একটি অংশ।চাকমা ভাষায় বলা হয় ফুলবারেং।আর নকঁশা তৈরি কাপড়টি হচ্ছে আলাম।অন্য দিকে তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বলা হয় ফুঁ কালং আলাম।ভিন্ন সম্প্রদয়ের ভিন্ন রকমের নাম ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

জানা যাক ফুল বারেং কিপরম ধৈর্য্য নিঁপুণ বুননে একটি বেতের তৈরি ঝুড়ি।তাই এই ঝুড়িকে বলা হয় ফুলবারেং।এক একটি ঝুড়ি যেন এক একটি শিল্প কর্ম কারুকাজ।মূলতঃ শুভ বিবাহের জন্য ব্যবহার করা হয় ফুলবারেংটি।বিয়ের দিন একমাত্র বরের পক্ষ থেকে কনের অলংকার, পোশাক পরিচ্ছদ যাবতীয় সরঞ্জামাদী নেওয়া কনের বাড়ীতে ফুলবারেং দিয়ে।

প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমানেও এই রীতি প্রচলন রয়েছে।থাকলেও বর্তমানে রকম ঝুড়ি তৈরি করা বেত শিল্পী পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। বলতে গেলে নেই বললে চলে। এজন্য এখনকার বিবাহ সম্পন্ন করে সাধারণ ফুল বারেং দিয়ে। সে ধনী হোক কিংবা গরীব হোক। তাই খুবই রেয়ার।একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে,পেশাগত ঝুড়ি তৈরি করা ঐতিহ্যগত শ্রম শিল্পী বা কারিগর না থাকার কারনে ফুলবারেংটি প্রায় বিলুপ্তির পথে।

তাহলে এবার জানা যাক আলাম কিপাহাড়ী মেয়েদের পোশাকে উপরে একটি অংশ থাকে সেটাকে বলা হয় হাদি।এই হাদিতে বিভিন্ন ধরনের নকঁশা বোনা হয়,নকঁশাগুলো এক সাথে সংরক্ষণ করে তৈরি হওয়া কাপড়কে আলাম বলে।পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের নকঁশা তুলে হাদি বুনানো হয় এবং নকঁশা তুলা হয়।তাই আলামের নকঁশাগুলোকে ফুল বলা হয়।এগুলো আলামে উল্লেখযোগ্য ফুল বা জু বলা হয়।

স্থানীয় ভাষায় জু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।যেমনবেগুন বিচি ফুল, কুয়া চুগ ফুল,জুনিপুগ ফুল,গুমচগলা ফুল,সাবকাঙাল ফুল ইত্যাদি ইত্যাদি।অর্থাৎ এককথায় বলতে গেলে যত রকমের ফুল আছে ফুলগুলো আলামে তুলা হয়। হাদি বুনানোর সময়ে কোন ফুলের পরে কোন ফুলটা সাজিয়ে দিলে হাদিতা আরো বেশী সুন্দর আকর্শনীয় দেখাবে।তাই হারিয়ে যাওয়া লুকায়িত, বিলুপ্ত প্রায় সংস্কৃতি সংরক্ষণে সবাই এগিয়ে আসুন।

কয়েকজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যাক্তির সাথে কথা হলে তারা জানানআদি প্রাচীন যোগে আমরা এত কিছু চিনতাম না জানতাম না। আমাদের সময়ে আমরা মেয়ে বিয়ে দেওয়া ছেলের বউ আনা সময় ফুঁ কালং বা ফুল বারে দেওয়া বাদ্যগত ছিলো কারণ মেয়ের কাপড় রাখা বা ছেলের নতুন বউ আনার সময় এগুলো বেশি ব্যবহার করা হয়। এখন বর্তমান যুগে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, এই যুগের ছেলে মেয়েরা এইগুলো চিনেন বলে আমার মনে হয় না। তাই সম্মিলিত উদ্যোগে লুকায়িত, বিলুপ্ত সংস্কৃতি সংরক্ষণে সবাই এগিয়ে আসুন।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT