ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল ডাক্তার কর্মচারীসহ ৩৮জনের নমুনা সংগ্রহ
মোঃ কামরুজ্জামান রবিবার রাত ১০:০০, ১০ মে, ২০২০
মোবারক হোসাইন, ধর্মপাশাা (সুনামগঞ্জ), প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্যকর্মী (২৩) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স,আয়াসহ স্বাস্থ্য সেবার কাজে নিয়োজিত ৩৮জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বা্স্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এ নিয়ে নানা শ্রেণি পেশার মানুষজন করোনা নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছেন। ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১৬জনের নমুনা সংগ্রহ করে গত সোমবার তা পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ঝন্টু সরকারকে জানানো হয়েছে যে, এই ১৬জনের মধ্যে দুজনের করোনার ফলাফল পজেটিভ এসেছে। করোনায় আক্রান্ত এই দুজনের মধ্যে একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মী (২৩) ও অপরজন ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের এক নারীর (৪৫)। এর আগে উপজেলার ৬২জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠোনো হয়েছিল। এদের মধ্যে মা ও ছেলেসহ তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে পাঁচজন। গতকাল শুক্রবার একজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার,নার্স,আয়াসহ স্বাস্থ্য সেবার কাজে নিয়োজিত ৩৮জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একইদিনে এ উপজেলায় এটাই নমুনা সংগ্রহের দিক দিয়ে সর্বাধিক। ধরমপাশা সদর বাজারের ব্যবসায়ীে এনামুল হক এনাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রা্ন্ত হওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষজনদের মধ্যে ভীতি বিরাজ করছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ঝন্টু সরকার বলেন, গতকাল শনিবার ৩৮জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীর সংস্পর্শে আমি নিজেে এবং হাসপাতালের অফিস সহকারী আল আমিন এই দুজন ছিলাম। ওই স্বাস্থ্য কর্মীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর পরই আমরা দুজনই এখন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছি। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার কাজে নিয়োজিতরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এ উপজেলায় পাঁচজন করোনায় আক্রান্তরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। আক্রান্তদের শারিরীক অবস্থা এখন ভালো রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন, এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন। নিয়মিত আমি করোনায় আক্রান্তদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনায় আক্রান্ত পরিবারগুলোকে সবরকম সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।