ধর্মপাশায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর আত্মহত্যা
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) শনিবার ভোর ০৪:২৬, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওর এলাকার মীর্জাপুর গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে নওরীন আক্তার (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। সে উপজেলার বংশীকুণ্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ছাত্রীটির বাড়ি উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক নূর মিয়ার মেয়ে।
এলাকাবাসী ও মধ্যনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের মীর্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নওরীন আক্তারের নানী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।এ নিয়ে খুবই আনন্দিত ছিলেন নওরীন। আদরের নানী তাদের বাড়িতে আসার আনন্দে সে তার ৪-৫জন বান্ধবীকে নিয়ে গতকাল বেলা দেড়টার দিকে প্রত্যকেই শাড়ী পড়ে পাড়া পড়শীদের বাড়িতে ঘুরতে যায়।সেখান থেকে বেলা তিনটার দিকে নিজ বাড়িতে এসে নানীর সঙ্গে দুপুরের খারার খায়।পরে তাদের বসতঘরের বারান্দা লাগোয়া কক্ষে গিয়ে শুয়ে পড়ে।।
ওইদিন বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ওই ছাত্রীটির পরিবারের লোকজন তাঁকে ওই কক্ষের আঁড়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেছানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বেঁচে আছে মনে করে তাকে পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে নীচে নামিয়ে নেন।পরে বাঁচানোর চেষ্টায় তারা তার মাথায় পানি ঢালেন। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি।
খবর পেয়ে মধ্যনগর থানা পুলিশ ওইদিন রাত নয়টার দিকে ওই গ্রাম থেকে ওই ছাত্রীটির লাশ উদ্ধার করেন।
মধ্যনগর থানা ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাশ সাংবাদিকদের বলেন,আমি সরোজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে ছাত্রীটির লাশ উদ্ধার করেছি।কিন্তু ওই ছাত্রীটির শরীরে আঘাতের কোনো লক্ষণ নেই।কী কারণে ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে তাঁর কারণ এখনো খোঁজে পাইনি।তবে এই মৃত্যু নিয়ে ছাত্রীটির পরিবারের সদস্যদের কোনোরকম অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রহণের আবেদন করায় ছাত্রীটির লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে কীনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।