দুর্নীতি-অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগে চেয়ারম্যান হযরত আলীর অপসারণ দাবী
ওবায়দুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত ১০:৪৭, ২২ আগস্ট, ২০২৪
দুর্নীতি-অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, হয়রানি ও বিভিন্ন প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ তুলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলীর অপসারণের দাবী তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) বিকেলে গৌরীপুর ইউনিয়নের তিনজন ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত এই অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. হযরত আলীর অপসারণ দাবী করেছেন গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. শহীদুল্লাহ, মো. ওয়াসিম আকন্দ ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য শিউলী আক্তার পান্নাসহ এলাকাবাসী।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের কর্মসৃজন কর্মসূচীর প্রকল্পের অর্ধকোটি টাকা লুটপাট, টি.আর, কাবিখা’র ১৯টি প্রকল্পের অর্থ লুট, রাজস্ব খাতের অর্থ লুট, নলকূপ প্রকল্প গ্রহণ করে সুবিধাভোগীদের মাঝে নলকূপ বিতরণ না করা, এলজিএসপির অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এছাড়াও অভিযোগ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চেয়ারম্যান, তাঁর ছেলেরা ও সমর্থক ক্যাডারদের নিয়ে এই ছাত্র আন্দোলন থামানোর অপচেষ্টা করেছেন। তারা আরও অভিযোগ করেছেন গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন এবং এতে ইউনিয়নের সর্বসাধারণের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও সেবা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অভিযুক্ত গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বলেন, আমি জনগণের চেয়ারম্যান। আমি ও আমার পরিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কোন ধরণের চেষ্টা করেনি। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও লুটপাটের অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হেয় করার অপচেষ্টা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।