দাউদকান্দিতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ; গ্রেফতার ৩
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৭:০৯, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মুন্নী (ছদ্ম) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে; ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ।
দাউদকান্দি সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ ইকবাল জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা’র সরকারি মোবাইল নম্বরে একটি অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন দিয়ে বলেন; অচেতন অবস্থায় এক কিশোরী ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে পশ্চিম হুগলিয়া ঝোপঝাড়ের পাশে অচেতন হয়ে পড়ে আছে।
এরই প্রেক্ষিতে মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো.মাকসুদ আলম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে; ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে অবস্থার অবনতি হলে; উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, এজাহার নামীয় আসামী মিরাজুল ইসলাম মিরাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় মুন্নী নামের কিশোরীর। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী মিরাজকে তার জন্ম নিবন্ধন বয়স কম থাকার কথা জানালে। তা মিরাজ সংশোধন করে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে প্রলোভিত করে। এতে রাজি হয়ে সোমবার বিকালে মিরাজের সঙ্গে কিশোরী দেখা করতে আসলে মিরাজ ও তার সহযোগীরা নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে; কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়।
পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরও জানান, পরে মডেল থানা পুলিশ রাতভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ ধর্ষককে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতার কৃতরা হলেন-উপজেলার পশ্চিম হুগলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (১৯), একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে অপু (২৬) ও মৃত বারেক মিয়ার ছেলে মোখলেছ (২৫)।
অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা জানান,অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।