ঠাকুরগাঁওয়ে ‘মহানুভবতার দেয়াল’ উদ্বোধন
মেঘনা নিউজ ডেস্ক বুধবার রাত ০১:১১, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
মোঃ ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে ‘মহানুভবতার দেয়াল’ উদ্বোধন
মানুষের সেবা করার মধ্য দিয়েই প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও প্রকৃত ধার্মীক হিসেব নিজের পরিচয় মেলে ধরা যায়। মৃত্যুর পর বাঁচতে চাইলে মানুষের সেবা করে যেতে হবে। আর মানুষের প্রতি এই ভালোবাসা, সেবা করার মানসিকতাই হচ্ছে মানবিকতা। এমনি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হল “মহানুভবতার দেয়াল”।
সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী ও এলাকার হতদরিদ্র মানুষের সামান্য কিছু প্রয়োজন মেটাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি দেয়ালে ‘মহানুভবতার দেয়াল’ উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন আল আজাদ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান ই হাবিব, সকল শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ। শিক্ষার্থীরা ‘মহানুভবতার দেয়াল’ উদ্বোধনের পরে তাদের বাসায় অব্যবহৃত কাপড় চোপড় থেকে অপ্রয়োজনীয় সকল জিনিস সেখানে এনে রাখে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তোমার যা প্রয়োজন এখান থেকে নিয়ে যাও, তোমার যা অপ্রয়োজনীয় এখানে রেখে যাও। এমন লেখা যুক্ত দেয়ালে হ্যাঙ্গারে ঝুলানো রয়েছে প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি, শীতের কাপড়। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কেউ বাসা থেকে বেরিয়ে আসার সময় নিজের অতিরিক্ত কয়েকটি কাপড় এখানে রেখে যাচ্ছেন, আবার বিদ্যালয়ের আশে পাশের কেউ নিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় দু-একটি কাপড়।
এমন উদ্যেগ সম্পর্কে স্কুলের শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলেন, এমন উদ্যেগ আমাদেরকে ভবিষ্যতে মানুষের সেবা করার শিক্ষা দিচ্ছে। মানুষের মাঝে মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সেবা করার আগ্রহ এই উদ্যেগের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হচ্ছে।
‘মহানুভবতার দেয়াল’ সম্পর্কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান ই হাবিব বলেন, সমাজের অবহেলিত অস্বচ্ছল মানুষদের জন্যে কিছু করতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আশা করছি বিত্তবান ও স্বচ্ছল মানুষরা তাদের অব্যবহৃত জামা কাপড় এ দেয়ালে রেখে যাবেন। যার ফলে অস্বচ্ছল মানুষেরা এখান থেকে নিয়ে কিছুটা হলেও তাদের চাহিদা মেটাতে পারবে। আর শিক্ষার্থীরা এখান থেকে মানব সেবার শিক্ষা অর্জন করবে আর সমাজে একদিন গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।