ঢাকা (রাত ২:১৪) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

আজ বাঙালির বিজয় উৎসব

<script>” title=”<script>


<script>

মহান বিজয় দিবস আজ সোমবার। এই দিনটি বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন।

৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিন বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করবে দেশের পরাধীনতার গ্লানিমোচনে প্রাণ উত্সর্গ করা বীর সন্তানদের। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামবে। শ্রদ্ধার সঙ্গে তারা শহীদের উদ্দেশে নিবেদন করবে পুষ্পাঞ্জলি। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সব প্রান্তের মানুষ অংশ নিয়েছে বিজয় দিবসে।

এবারের বিজয় দিবস এসেছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট নিয়ে। আগামী ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং এর পরের বছর ২০২১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ।

বিজয় দিবস উদ্যাপনে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজয় দিবস সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হয়েছে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। সংবাদপত্র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে, বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করেছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

এ ছাড়া সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হয়েছে। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে আলোচনাসভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকার জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার জানান, বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় ছিল।

আর বিজয় দিবস উপলক্ষে লাল সবুজ আলোয় সেজেছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। হালকা শীতের উপস্থিতি বিজয়ের আনন্দ যেন কোটি বাঙালির হৃদয়কে আপ্লুত করে যাচ্ছে। আর আনন্দে বর্ণিল সাজে সাজিয়ে বিজয়ের আলোয় নিজেদের ভাসিয়ে বাঙালির শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার দিনটি এভাবেই প্রাণভরে উদযাপন করছেন সবাই।

রাজধানীর কারাওয়ান বাজার, বাংলামটর, ফার্মগেট, শাহবাগ, কাঁটাবন, সংসদ ভবন এলাকা, শেরে বাংলা নগর, পল্টন, মোহাম্মদপুর, বিজয় স্মরণী, মহাখালী, মগবাজার, মতিঝিল, মিরপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরিব সবাই মিশে একাকার হয়ে গেছে। লাল-সবুজের আবহ মিশিয়ে বাংলাদেশের পতাকার আদলে করা বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা ছিল দৃষ্টিনন্দন। ভবনে বাতির ঝলমলে ফুটে উঠেছে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT