সোহরাবের হামলাকারীদের বিচার দাবিতে ‘বই হাতে’ প্রশাসন ভবন ঘেরাও, বহিস্কার-২
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রবিবার রাত ১০:১২, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯
মোঃ ইসমাইল, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িতদের সাময়িক বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে ‘বই হাতে’ সারিবদ্ধ ভাবে এসে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা সোহরাবের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর লুৎফর রহমান জড়িতদের সাময়িক বহিস্কারের ঘোষনা দেন এবং অতি দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।
বহিস্কৃতরা হলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসিফ লাক ও বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির নাহিদ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষনার পেক্ষিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জড়িতদের স্থায়ী বহিস্কার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন। এবং দাবি আদায় না হলে ৭দিন পর আবারো আন্দোরনে আসা হবে।
প্রসঙ্গত —ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহরাবকে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ছাত্রলীগের দুই কর্মী রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ ডেকে তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে সোহরাবকে নানা রকম কথা জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ছাত্রলীগ কর্মীরা। এক পর্যায়ে এই দুই নেতা সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকে।
এক পর্যায়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। মোটরসাইকেলে করে রাবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে এ্যাম্বুল্যান্সে করে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এতে সোহরাবের মাথা ফেটে যায় এবং বাম হাত ও পায়ে গুরুতর আহত হয়।