সুকর্মা ফাউন্ডেশন ও লায়ন্স ফেডারেশন এর চুক্তি সই
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা শুক্রবার রাত ১০:৫৭, ২২ অক্টোবর, ২০২১
বেসরকারী সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র এর তথ্যমতে, এ বছর ১০ মাসে প্রায় ৬০০ শিশু ধর্ষণ এর শিকার হয়েছে, ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে ১৫০ জন শিশু এবং ৩০ জন শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
এই পরিসংখ্যানটির সাথে বাস্তবের ভয়ঙ্কর রকমের পার্থক্য যৌক্তিক ভাবে হওয়ার কথা।
কারন পরিসংখ্যান তৈরি হয়েছে থানায় অভিযোগ এবং প্রকাশ পেয়ে যাওয়া তথ্যর ভিত্তিতে।
এর বাইরে অসংখ্য শিশু প্রতিদিন নির্যাতন এর শিকার হচ্ছে যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধামাচাপা পরে যাচ্ছে।
বেশির ভাগ গৃহহীন, শিশুশ্রমে নিয়োজিত, হোটেল, বাজার অথবা পরিবহন ক্ষেত্রে কর্মরত এবং এতিম শিশুদের সিংঘ ভাগ ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই শারীরিক, মানসিক এবং যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছে অহরহ।
আমরা যদি এখনই এই বিষয়টাতে নজর না দেই, বাচ্চা গুলো স্রেফ দেশ ও সমাজের জন্য বোঝা এবং ঝুঁকি হয়ে দাড়াবে।
এক্ষেত্রে প্রথমত করণীয় ওদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা দেয়া এবং অ্যাওয়ারনেস এর মাধ্যমে সতর্ক করা।
জানা যায়,সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ গত দুই বছর ধরে প্রায় ৩০০ এর অধিক এতিম এবং গৃহহীন শিশুদের পাঁচটি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে কাজ করে আসছে।
ফাউন্ডেশনের কো–অর্ডিনেটর শেখ সুহানা জানান,”আমাদের শিশুগুলোর জন্য অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা এই তিনটি লক্ষ্য আমরা প্রাথমিক ভাবে অর্জন করতে পেরেছি। যদিও তা যথেষ্ট নয়।
তিনি আরও বলেন,সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যেগে এবং জেসিআই এর সহযোগীতায় আমরা নিয়মিত শিশুগুলোর মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছি।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে ওঠা, অপ্রতুল খাবার এর কারনে বেশির ভাগ শিশুই নিয়মিত রোগ বালাই এর সম্মুখিন হয়। একারণে তাদের শারিরীক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য জরুরী ছিলো।
শেখ সুহানা আরও বলেন, বাংলাদেশ লায়ন্স ফেডারেশনের সাথে সম্পাদিত প্রাতিষ্ঠানিক চুক্তির অধীনে আমরা আমাদের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রতিটি শিশুকে আজীবন চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো বিনামূল্যে।এর জন্য আমি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা বাংলাদেশ লায়ন্স ফেডারেশন এর প্রতি।
এই শিশুগুলোর মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি, পূনর্বাসন, মেধা এবং আগ্রহ অনু্যায়ী শিক্ষা এবং বাসস্থানের লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন,ধন্যবাদ যারা সুকর্মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সাথে ছিলেন, আছেন। মানবতা এবং অধিকার অর্জনের পথে প্রতিটি প্রাপ্তি, সফলতার ভাগীদার (সুকর্মার সাথে যারা সম্পৃক্ত আছেন)আপনারা।“