ঢাকা (রাত ১:৪১) মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


দরিদ্রদের ত্রাণ বিতরণসহ এলাকায় নানা মানবকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে পৌর মেয়র

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock শনিবার রাত ০৯:২৩, ২০ জুন, ২০২০

মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট প্রতিনিধিঃ    মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে এক কঠিন দুঃসময় পার করছে বাংলাদেশের মানুষ। বেকারত্ব বাড়ছে, বাড়ছে হাহাকার। এসময়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সিলেটের বিয়ানীবাজারের কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র মানুষের দুঃসময়ে শুরু থেকেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর।
প্রবাস কিংবা দেশের অন্য অঞ্চল থেকে আসা মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, করোনা রোগীদের বাড়িতে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, মানুষকে সচেতন করা, কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মহামারির এ সময়ে দেশের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি যেখানে নীরব সেখানে ব্যতিক্রম এম এ শুকুর। পৌরসভার মেয়র হয়েও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলাব্যাপী।
বাইরে থেকে লোক এসেছে খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে। তারপর আবার হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা মানুষের সুবিধা অসুবিধার খোঁজ নিতে ছুটছেন বাড়ি থেকে বাড়ি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাকালে বিয়ানীবাজার পৌরসভা মেয়র অফিস খোলা থাকছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা।
মেয়র শুকুর সারাদিন মাঠে কাজ করে রাতে ঠিক করেন আগামী দিনের কর্মসূচি। আবার রাতের অন্ধকারে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারে পৌঁছে দেন খাদ্যসামগ্রী। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার এসকল মানবকল্যাণ মূলক কাজ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার লক্ষ্যে শহরের মাছ ও তরকারির বাজার তিনি স্থানান্তর করে স্থানীয় খেলার মাঠে নিয়ে গেছেন। এমনভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে দিয়েছেন যাতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত হয়।
এছাড়াও, প্রতিদিন ভোরে শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজ তদারকী করতে নিজে উপস্থিত হোন। আবার রাতে একবার শহর পরিদর্শন করে দেখেন কোথায় কি করতে হবে। মাত্র তিন বছরেই তিনি পূরণ করেছেন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। বিয়ানীবাজার পৌরসভাকে এরই মধ্যে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নতি করেছেন। করোনার এই দুঃসময়ে তার এ ধরনের মানবকল্যাণমূলক কাজের জন্য প্রশংশিত হচ্ছেন মেয়র আব্দুস শুকুর। এলাকার বাসিন্দারাও তার কাজ নিয়ে প্রশংসা করছেন।
এ প্রসঙ্গে লন্ডন প্রবাসী কমিউনিটি নেতা জুবের আহমদ বলেন, দেশে আসার পর থেকে মেয়র আব্দুস শুকুরের কাজ দেখছি। তিনি যেভাবে এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেভাবে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন তা দৃষ্টান্তমূলক। সব জনপ্রতিনিধি এভাবে এগিয়ে এলে কোনো সমস্যাই থাকবে না। পৌর এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন, একজন মেয়রের কাজের সীমানা পৌর এলাকার মধ্যে কিন্তু আমাদের মেয়র পুরো উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। যেন এক ক্লান্তিহীন বিশ্রামহীন বিরক্তিহীন সমাজসেবক। নিজের সব কাজ ফেলে রেখে ছুটে যাচ্ছেন মানুষের কাজে।
সঙ্গীত ও নাট্যশিল্পী হাবিবুর রহমান বলেন পৌর মেয়র যেভাবে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন তা অনুকরণীয়। যে কাজ ইউ এন ও সাহেবের করার কথা তিনি তা করছেন। করোনা বিষয়ক কাজ করার পাশাপাশি মেয়র আব্দুস শুকুর পৌরসভার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করে চলেছেন সমান তালে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা সংস্কৃতিকর্মী তন্ময় পাল বলেন, তিন বছরে বিয়ানীবাজার পৌর শহরসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের যে উন্নয়ন হয়েছে পৌরসভা গঠনের এক যুগেও তা হয়নি। এরই মধ্যে পৌর এলাকার চেহারা পাল্টে ফেলেছেন তিনি। সমাধান করেছেন এক যুগ থেকে ঝুলে থাকা সব সমস্যার। মাছ বাজারসহ অনেক জটিল বিষয়ের সমাধান করেছেন অসাধারণ প্রজ্ঞায়। পৌর বাস টার্মিনাল ছিল বিয়ানীবাজারের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি। অল্প দিনের মধ্যে টার্মিনালের জন্য জায়গা নির্বাচন করে পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন তিনি।
এছাড়া প্রমথনাথ দাস রোড প্রসস্থকরণ ও আর সি সি ডালাই, টি অ্যান্ড টি রোড আর আর সি সি ঢালাইসহ পৌরসভার আনাচে-কানাচে নতুন রাস্তা পাকাকরণ ও সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্তার আমূল পরিবর্তন সাধন করেছেন মেয়র আব্দুস শুকুর। মেয়র আব্দুস শুকুর বলেন, মানুষ আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। মানুষের এই আস্থার মর্যাদা রাখার জন্যই আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমার কাজের প্রেরণা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও আমার এলাকার জনগণ। আমার পৌরসভাকে দেশের শ্রেষ্ঠ পৌরসভায় পরিণত করাই আমার লক্ষ্য।



শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT