গৌরীপুরে বিদ্যালয়ের জমি রক্ষায় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ মঙ্গলবার রাত ০১:৫৮, ১৯ জুলাই, ২০২২
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গত সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সচেতন অভিভাবক পরিষদের ব্যানারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসএমসির সাবেক সদস্য কামাল হোসেন ও সচেতন অভিভাবক পরিষদের আহবায়ক ইকরাম হোসেন মামুন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে অভিযাগ করা হয়-পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ভূমির পরিমাণ ১৯.৫০ শতাংশ। বিদ্যালয়ের জমির ১৫ শতাংশ জমির দলিল আছে বাকি ৪.৫০ শতাংশের কাগজে জটিলতা আছে। অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ওই ৪.৫০ শতাংশ জমি প্রধান শিক্ষকে ফেরদৌস ও এসএসমি এবং পিটিএ কমিটি নিজেদের নামে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওই দুই কমিটি প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আমরা বিদ্যালয়ের দখলকৃত জমি উদ্ধার, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও এসএমসি কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে গত শনিবার পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি ও পিটিএ কমিটি পৌর শহরের ধান মহালে পিটিএ সভাপতির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সংবাদ সম্মেলন করে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে এসএমসি কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম ও পিটিএ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বাবুল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল সালাম ও সাদেকুল ইসলামকে নিয়ে গোপনে বিদ্যালয়ের জমি গ্রাস করার ষড়যন্ত্র করছেন। বিদ্যালয়ের জমি রক্ষায় আমরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি। শিক্ষা অফিসার কাজে বাঁধা দিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয়ের কাছে অনুরোধ বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নির্ধারণ করে পিলার নির্মাণ করার জন্য।
এর আগে গত ২৩ জুন এসএমসি কমিটির সাবেক সদস্য কামাল হোসেন প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন, এই মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে।
এসএমএসি কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, কামালের অভিযোগ পাওয়ার পর বিদ্যালয়ের ১৫ শতাংশ সহ অতিরিক্ত জমির সুরক্ষায় আমরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি। কিন্ত শিক্ষা অফিসার নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের জমি নিজেদের নামে নেয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট।
একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস বলেন আমার ভবন স্কুলের সীমানা প্রাচীরের বাইরে। ইউএনও মহোদয় সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করার পর, আমার জমি যদি বিদ্যালয়ের সীমানায় পড়ে আমি ছেড়ে দিবো। অহেতুক আমাকে যেন হয়রানি না করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ নিষ্পত্তির পূর্বে স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। প্রাচীর নির্মাণকালে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষা অফিসের অনুমতি নেয়নি। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ ও কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।