ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এর বাড়ী থেকে বিদ্যালয়ের ইট উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি সোমবার রাত ১১:৩৪, ১৬ মার্চ, ২০২০
ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইট নিলেন
ভাইস চেয়ারম্যান ও গাছ কেটে নিলেন প্রধান শিক্ষক শিরোনামে বিভিন্ন
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের। প্রাপ্ত অভিযোগের ভীত্তিতে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
রোববার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম পুলিশ নিয়ে উপজেলার
আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের বিভিন্ন ‘স’ মিলে অভিযান চালিয়ে প্রায় চার লক্ষ
টাকার গাছ উদ্ধার করেন। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন এর
বাড়ী থেকে সাত হাজার ইট , বিদ্যালয়ের পাশে আনোয়ার হোসেন এর বাড়ী থেকে
চার হাজার পাঁচশত, আব্দুল হকের বাড়ী থেকে দুই হাজার, রিয়াজুলের বাড়ী থেকে
দুই হাজার, কুতুব এর বাড়ী থেকে বারশত, আইয়ূব আলীর বাড়ী থেকে এক হাজার ও
জাহাঙ্গীরের বাড়ী থেকে পাঁচ শত সহ প্রায় উনিশ হাজার ইট উদ্ধার করেন। এ সময়
নৈশপ্রহরি কুতুব উদ্দিন এর বাড়ী থেকে বিদ্যালয়ের পুরাতন কাঠ, টিন, রড,দরজা ও
জানালা উদ্ধার করা হয়।
প্রধান শিক্ষক রফিকুর ইসলামের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না জানতে
চাইলে, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তর্াা জোত্যির্ময় চন্দ্র সরকার জানান, ইউএনও
স্যার চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন । তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই বিভাগীয়
ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলমের কাছে জানতে চাইলে
তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ ইট ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হচ্ছে এবং তদন্ত
কমিটি প্রতিবেদন দিলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের শরিয়ত উল্লাহ সরকারী প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজের টেন্ডার হলে পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলে বিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ সেই সঙ্গে অর্ধশতাধিক বছরের বিশাল আকৃতির কাঠাল, শিশু
মেহগনিসহ ১৫ টি গাছও কেটে ফেলে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই
এসব কর্মকান্ড করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ
দায়ের করেন। যে গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে তার বাজার মূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ
টাকা। আর পুরাতন ভবনের ইট ,কাঠ ও রডের মূল্য ৩ লাখ টাকার মতো।