ধর্মপাশায় তবারক বিতরণে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারধরে শিকার হলেন দুই নারী,থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) শুক্রবার রাত ১০:৩০, ১৩ নভেম্বর, ২০২০
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা আক্কাস আলী শাহ (৪৪) এর বাবা লাল শাহ ফকিরের ২০তম মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (১২নভেম্বর) রাত আটটার দিকে তাঁর নিজ বাড়িতে মিলাদ মাফিলের আয়োজন করা হয়।
ওইদিন রাত ১০টার দিকে মিলাদ মাহফিল শেষে তবারক বিতরণ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করায় মীনা আক্তার মঞ্জিলা (৩৮) তাঁর দুসম্পর্কের এক আত্বীয় সেলিনা আক্তার (৩২) নামের দুজন নারীকে চুলের মুঠি ধরে মারধর ও তাঁদেরকে বিভস্ত্র করার চেষ্ঠা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থল থেকে কামরান মিয়া (৪৫ ) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় আহত মীনা আক্তার মঞ্জিলার স্বামী আক্কাস আলী শাহ (৪৪) আজ শুক্রবার (১৩নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধর্মপাশা থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের আক্কাস আলী শাহ (৪৪) তাঁর প্র্রয়াত বাবা লাল শাহ ফকিরের ২০তম মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে তাঁর নিজ বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। রাত ১০টার দিকে তবারক বিতরণ শুরু হলে মদপান করে মাতলামি করতে করতে এতে বাধা দেন উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাদকসেবী ওয়াসিম মজুমদার (৩২)।
এ সময় আক্কাস আলী শাহ (৪৪) অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মিলাদে আসা মানুষজনকে তাঁর বসতঘরের একটি কক্ষে নিয়ে যান। আর এতে উত্তেজিত হয়ে ওয়াসিম মজুমদার মোবাইল করে দেশীয় অস্ত্র্রসহ তাঁর৫/৬জন সহযোগীকে সেখানে ডেকে আনেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে আক্কাস আলী শাহের স্ত্রী মীনা আক্তার মঞ্জিলা ও তাঁর আত্বীয় সেলিনা আক্তার তবারক বিতরণে বাধা দেওয়া ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা নিয়ে প্রতিবাদ করলে ওয়াসিম মজুমদার (৩২) ও কামরান মিয়া (৪৫) ওই দুজন নারীকে চুলোর মুঠি ধরে কিলঘুষি মারতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে ওই দুজনকে বিভস্ত্র করার চেষ্ঠা করেন।স্থানীয় লোকজন ওই দুজন নারীকে রক্ষা করেন। খবর পেয়ে ওইদিন রাত দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে কান্দাপাড়া গ্রামের কামরান মিয়া (৪৫)কে গ্রেপ্তার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ওয়াসিম মজুমদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় এই ঘটনা নিয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,ঘটনাস্থল থেকে বিশৃঙ্কলা সৃষ্টির দায়ে কামরান মিয়া (৪৫)কে ১৫১ধারায গ্রেপ্তার করে তাঁকে আজ শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কেশবপুর গ্রামে দুজন নারীকে মারধরের ঘটনা সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। এটি খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।