সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
মোঃ নাজমুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বুধবার বিকেল ০৪:৫৩, ৫ আগস্ট, ২০২০
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের বাড়ইটেপরি চরপাড়া গ্রামে আলো খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত আলো খাতুন উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের বাড়ইটেপরি গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে ও বাড়ইটেপরি চর পাড়ার গ্রামের নাজমুল মন্ডলের স্ত্রী।
এই এ ঘটনায় নিহত আলো খাতুনের স্বামী নাজমুল মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতের পিতা খোরশেদ আলম জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় আলো’র শশুরবাড়ি থেকে আমাদের মোবাইল ফোনে জানায় যে আলো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত আলোর শশুরবাড়ি গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই আমার মেয়ের লাশ। তারা অভিযোগ করে বলেন, আলোকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। তারা আলোকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতনের মাধ্যমে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে শাহজাদপুর উপজেলার বাড়ইটেপরি গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে আলো খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ইটেপরি চরপাড়া গ্রামের সাত্তার মন্ডলের ছেলে গরু ব্যবসায়ী নাজমুল মন্ডলের (২২) বিয়ে হয়। এই বিষয়ে অভিযুক্ত নাজমুল মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে কিছু করেনি বলে জানায়। অভিযুক্ত নাজমুলের পিতা জানান, দুপুরে তার ছেলে নাজমুল পুত্রবধূর সাথে ঝগড়া করে বাজারে যায়। কিছুক্ষণ পরেই ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ঘরে ঢুকে আলোর গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে ছোটভাই ঘরে ঢুকে আলোর নিথর দেহ নামায়।
ঘটনার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, নিহত আলো খাতুনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং অভিযুক্ত নাজমুল মন্ডলকে আটক করা হয়। এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি ইনভেস্টিগেশন ফজলে আশিক জানান, সুরতহালে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আলো খাতুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নিহতের স্বামী নাজমুল মন্ডলকে আটক করা হয়েছে।