প্রতিবেদকঃ 
মোবারক হোসাইন
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় নানাভাবে ফুঁসলিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী (১৫)কে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত রবিবার (৯অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা অনিক মিয়া (২৪)কে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেছেন।
মধ্যনগর থানা পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশেরীটি মধ্যনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। উপজেলার মধ্যনগর বাজারে থাকা বিদ্যা নিকেতন কোচিং সেন্টারে ৬/৭মাস ওই ছাত্রীটি ভর্তি হয়। এক পর্যায়ে উপজেলার বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কোচিং সেন্টারটির শিক্ষক অনিক মিয়ার (২৬) এর সঙ্গে ওই ছা্ত্রীটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ছাত্রীটিকে নানা ভাবে ফুঁসলিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কোচিং সেন্টারটির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে গিয়ে ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন শিক্ষক অনিক মিয়া। সর্বশেষ গত ১১সেপ্টেম্বর পাশের নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়েও তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি জানার পর মেয়েটির পরিবার তাদের মেয়েকে বিয়ে করার জন্য ওই শিক্ষকের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু ওই শিক্ষক ছাত্রীটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ও তাকে ধর্ষণ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ অবস্থায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই শিক্ষককে আসামি করে মধ্যনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর পরই মধ্যনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মধ্যনগর বাজার থেকে রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মধ্যনগর থানার ওসি মো.জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় রবিবার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই আসামিকে সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে সুনামগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মেঘনা উপজেলাসহ দেশ ও প্রবাসের সকল সংবাদ সবার আগে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
