ধর্মপাশায় বোরোধান বাঁচাতে নতুন করে চলছে বাঁধ নির্মাণ
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ বৃহস্পতিবার রাত ০২:৫৭, ৭ এপ্রিল, ২০২২
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল চাপে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ডোবাইল ফসলরক্ষা বাঁধটি ভেঙ্গে যাবার পরে, ডোবাইল হাওরের ১৮৫ হেক্টর বোরো জমির আধাপাকা ধান পানিতে তলিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে এই ফসল ডুবির ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ডোবাইল ফসলরক্ষা বাঁধটির দৈর্ঘ ৫০০ মিটার; পিআইসি নং ৭৫। বাঁধের এই কাজের জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয় প্রায় ২৩ লাখ টাকা। পিআইসির সভাপতি হলেন নূরুল হুদা ও সদস্য সচিব হলেন সাগর মিয়া।
পিআইসিকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তি বাবদ বরাদ্দের শতকরা ৫৭ ভাগ টাকা দেয়া হয়েছে। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর এই বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে ডোবাইল বাঁধ ভাঙ্গার পরেই প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে সুইখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম হতে হুগুলিয়া ঘাট পর্যন্ত নতুন করে বাঁধ নির্মাণ চলছে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুনতাসীর হাসান, ধর্মপাশা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ও সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন তালুকদার এই বাঁধ নির্মাণ কাজের সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল ইসলাম জানান, এই বাঁধ নির্মাণ করে হাওরের পানি আটকাতে পারলে এই উপজেলার প্রায় ২৭০০ হেক্টর জমির ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারবে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুনতাসীর হাসান বলেন, ডোবাইল বাঁধ ভাঙ্গার পরে ডিসি মহোদয় বাঁধ পরিদর্শন করেছেন এবং উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।