ধর্মপাশায় নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৭:৩১, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১
ইউপি নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিতকরণ, ভোটার এলাকা সংশোধন ও ভোটার এলাকা স্থানান্তর করার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি প্রদানের দাবিতে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের মহিষখলা বাজারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডবাসী এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে এখানকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বংশীকুন্ডা উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, ৯নং ওয়ার্ডের কালাগড় গ্রামের বাসিন্দা কালা মিয়া,সোলায়মান মিয়াম,ভুক্তভোগী মো.শহিদ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো.শহিদ মিয়া ওই ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মো. শহিদ মিয়া তার ভোটার এলাকা স্থানান্তরের জন্য কোনো আবেদন করেননি। অথচ নতুন ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পাশের বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তেলিগাও গ্রামে।
মানববন্ধনে মো.শহিদ মিয়ার ভোটার এলাকা সংশোধন করণ,বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন স্থগিতকরণ ও ভোটার এলাকা স্থানান্তরের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়।
মানবন্ধন শুরু হওয়ার আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহিষখলা বাজারে এসব দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ওই বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ভুক্তভোগী মো.শহিদ মিয়া (৫১)বলেন, ৫জানুয়ারি ধর্মপাশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুুষ্ঠিত হবে। আমার ভোটার এলাকা স্থানান্তরের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে আমি কোনোরকম আবেদন করিনি। গত ৮ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রের ফরম পূরণ করার সময় ভোটার এলাকা স্থানান্তর করার বিষয়টি দেখে আমি হতবাক হয়েছি। পরে পুরাতন ভোটার তালিকা অনুযায়ী আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও সেটি রিটানিং কর্মকর্তা বাতিল করে দেন। এ নিয়ে আপীল করেও কোনো লাভ হয়নি। আমি এ নিয়ে উচ্চ আদালতের মামলা করব।
সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন,কারও ভোটার তালিকা অন্যত্রু স্থানান্তর করতে হলে উপজেলা নির্বাচন অফিসে অবশ্যই তাকে আবেদন করতে হবে। আবেদন করা ছাড়া এমনটি হওয়ার কথা নয়। এ ঘটনায় ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কেউ জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।