জেলার কালীগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভূমিহীন পরিবারদের মাঝে ঘর উপহার তথা গৃহনির্মাণ প্রকল্পে ভূমিহীন পরিবার তথা উপকারভোগি বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সরকারের মহতি উদ্যোগ।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা গেছে,উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বৈরাতী এলাকায় সম্পদশালী সম্পূর্ণ সেমি পাকা বসতবাড়ির মালিক, বৈরাতী গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিনের বড় ছেলে সাজু মিয়ার নামে সরকারি ঘর বরাদ্দ করে বসত বাড়ির আঙ্গিনায় সরকারি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর বরাতদিয়ে জানা গেছে,বরাদ্দকৃত ঘরের মালিক সাজু মিয়া হাফিজ উদ্দিনের বড় ছেলে। তাদের নিজস্ব থাকার বসতবাড়ি সেমিপাকা ঘর রয়েছে। তার পিতা হাফিজউদ্দিনের আনুমানিক ৩ একর জমিজমা রয়েছে,সেইসাথে রয়েছে এক একর জমির একটি মাছের প্রজেক্ট, তারপরেও তারাই ঘর পায়। আর ভূমিহীন পরিবার প্রকৃতপক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।মূলত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগ কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ।

উক্ত ঘরটি কিছুদিন পূর্বেও পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল সম্প্রতি সময়ে পলিথিন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যার ফলে এখন ঘরটি সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ঘরটিতে কোন লোকজন থাকে না সবসময় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

সাজু মিয়া কার মাধ্যমে এই ঘরের বরাদ্দ পেলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বৈরাতী গ্রামের একজন ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, সাজুর বোন জামাই একই এলাকার শাহিনুর ইসলাম শাহিন-অনিবন্ধিত একটি নিউজ পোর্টাল খুলে সাংবাদিকতা করে আসছেন,সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কালীগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন তুষভান্ডার ইউনিয়ন এর সভাপতি পরিচয় দিতেন।ইতিপূর্বে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে উক্ত তথাকথিত সাংবাদিকের নামে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পরে আওয়ামীলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের দৃষ্টিগোচর হয় বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল।ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পরিচয় দেওয়া শাহিন মুলত ছিলেন ইউনিয়ন আহ্বায়ক। দলীয় পদ ব্যবহার করে পাশাপাশি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নিতেন খুব সহজেই।

গত ৩রা নভেম্বর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ফেসবুক পেজে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারনে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর সম্পদশালী ব্যক্তি পেলেন কিভাবে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি, আর ঘরটি বরাদ্দ হয়েছে আমি যোগদান করার পূর্বেই, তবুও অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখি তারপরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।