ঢাকা (রাত ১২:৪৫) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

ওএমএসের চাল-আটা কিনতে দীর্ঘ হচ্ছে লাইন

ওএমএসের চাল-আটা কিনতে দীর্ঘ হচ্ছে লাইন
সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে লাইন দিয়ে ওএমএসের ট্রাকের জন্য অপেক্ষায় নারীরা। অনেকে এসেছেন আরো ভোরে। গাড়ি আসবে ১১টার পর। আবার না-ও আসতে পারে। কিন্তু প্রতীক্ষার বিরতি নেই তাদের। ছবিটি গতকাল পোস্তগোলা চীন মৈত্রী সেতুর সামনে থেকে তোলা : নাসিম সিকদার

<script>” title=”<script>


<script>

খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির (ওএমএস) দোকান চালু হয় সকাল ৯টায়; কিন্তু দিনমজুর আইয়ুব আলী রাজধানীর গোড়ান এলাকা থেকে বাসাবো ওয়াসা রোডের ডিলার ফরিদ উদ্দিনের দোকানের সামনে এসেছেন সকাল ৬টায়।

এ সময় তার সাথে আরো অনেক নারী-পুরুষ দোকানের সামনে জড়ো হয়েছেন; কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আইয়ুব আলী চাল-আটা কিনতে পারেননি।

একইভাবে রাজারবাগ এলাকা থেকে সকাল ৭টায় এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনিও চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চাল-আটা কিনতে পারেননি। সাইফুল ইসলাম বলেন, ওএমএসের দোকানে চাল বিক্রি হয় ৩০ টাকা কেজি দরে। একসাথে পাঁচ কেজি কেনা যায়; কিন্তু বাইরে দোকানে এ মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। এখান থেকে চাল নিলে পাঁচ কেজিতে দেড় শ’ টাকা কম লাগে। ওএমএসের দোকানে পাঁচ কেজি চালের সাথে তিন কেজি আটা দেয়া হয়।

আটার কেজি আগে ১৮ টাকা থাকলেও সম্প্রতি কেজিতে ছয় টাকা বেড়ে বর্তমানে ২৪ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তারপরও আটার চাহিদা বেশি; কিন্তু চালের থেকে আটার সরবরাহ কম থাকায় ক্রেতারা চাহিদা মতো কিনতে পারছেন না। আবুল হাশেম ও আজিম উদ্দিন নামে দু’ক্রেতা বলেন, আগের দিন চাল-আটা কিনতে এসে প্রায় তিন ঘণ্টা বসে থেকেও কিনতে পারিনি।

আজো তিন ঘণ্টার চেয়ে বেশি সময় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি; কিন্তু এখনো কিনতে পারিনি। আবুল হাশেম অভিযোগ করে বলেন, অনেকসময় একই ব্যক্তি পরপর দু’দিন এসে মালামাল কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে এক দিনও পাচ্ছে না। এ সময় ওই দোকানে থাকা ডিলারের প্রতিনিধিরা জানান, চাল-আটা যে পরিমাণ সরবরাহ করা হয় তার থেকে চাহিদা থাকে অনেক বেশি। এ কারণে অনেকেই মাল না পেয়ে ফিরে যান। মালামাল দেয়া যায় দুই শ’ জনের মতো ব্যক্তিকে। কিন্তু মানুষ লাইনে দাঁড়ান তিন শতাধিক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এভাবে রাজধানীর প্রতিটি ওএমএসের দোকানেই নারী-পুরুষের ভিড় লেগেই থাকে। অনেকে চাল-আটা কিনতে না পেরে ফিরে যেতে বাধ হন।

হতদরিদ্র পরিবারকে সহায়তা করার জন্য চাল ও আটা খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। কিন্তু বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এখন ওএমএসের লাইন বড় হচ্ছে প্রতিদিন। কম দামে পণ্য কিনতে এখন ওএমএসের লাইনে ভিড় করছেন মধ্যবিত্তরাও।

ওএমএসের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত দামে চাল ও আটা বিক্রি করে খাদ্য অধিদফতর। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও দুই কেজির প্যাকেটজাত আটা ৫৫ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ২৪ টাকা। ওএমএসের ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি আটা কিনতে পারেন। এতে ব্যয় হয় ২০৫ টাকা। বাজার থেকে সমপরিমাণ চাল ও আটা কিনতে ৪০০ টাকার মতো লাগে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT