ইক্ষু, সাথী ফসল ও গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব এবং সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি শনিবার রাত ১১:২০, ১২ অক্টোবর, ২০১৯
সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, বান্দরবান প্রতিনিধিঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইক্ষু, সাথী ফসল ও গুড় উপাদনের গুরুত্ব এবং সম্ভাবনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে।
গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের হলরুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় কর্মশালায় বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড.মো:আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি। এসময় অন্যান্যদের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা ,পুলিশ সুপার মো:জাকির হোসেন মজুমদার,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর,বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.এ কে এম নাজমুল হক,বিএসআর আই-কেজি এফ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ড.এবি এম মফিজুর রহমান,বান্দরবান সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বান্দরবান উপকেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কমকতা কৃষিবিদ ক্যছেনসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যন্যাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস,ক্যাসাপ্রু মার্মা,ফাতেমা পারুল,সিং ইয়ং ম্রো , ক্যানে ওয়ান চাক,কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো:ওমর ফারুক,বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু,প্রথম আলোর বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি বুদ্ধজোতি চাকমাসহ প্রমুখ।
এসময় অনুষ্ঠানে বান্দরবান সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বান্দরবান উপকেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা কৃষিবিদ ক্যছেন জানান,২০১৮-১৯ অর্থ বছরে তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ৩১ টন ইক্ষু উৎপদন হয়েছে। এসময় কৃষিবিদ ক্যছেন জনবল সংকট নিরসন,আখের বীজ পরিবহণ সুবিধা বৃদ্ধি,কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কমানো, আখ পরিবহনে টোল ও ট্যাক্স কমানো এবং আখের বাজারজাত করণে পর্যাপ্ত ব্যবস্তা গ্রহনের জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি বলেন, দিন দিন পার্বত্য জেলায় ইক্ষু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একসময় তামাক চাষ করে পার্বত্য এলাকার চাষীরা জীবিকা নির্বাহ করলে ও এখন ইক্ষু চাষে ফলন বেশি হওয়ায় আর বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় বেশির ভাগ চাষী ইক্ষু চাষে ঝুঁকছে। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি আরো বলেন, এখন সনাতন ধর্মালম্বীদের যেকোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ইক্ষুর প্রয়োজন হয়,পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন পূজা-পার্বনে ও এখন ইক্ষু বেশ প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে দাড়িঁয়েছে। এসময় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি বলেন, আমাদের সকলকে এখন খালি জায়গাতে এই ইক্ষুর আবাদ বাড়াতে হবে। এক সময় পতিত জমিতে অনেকেই তামাক চাষ করলে ও এখন অনেকেই এই ক্ষতিকর তামাক চাষ ছেড়ে ইক্ষুর আবাদে নেমে পড়ছে।
পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এসময় সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর কর্মকর্তাদের পার্বত্য এলাকায় আরো ইক্ষুর আবাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ইক্ষু চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নিদের্শনা দেন এবং বলেন, প্রয়োজন হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে আরো বেশি সহায়তা প্রদান করা হবে এবং পার্বত্য এলাকায় ইক্ষুর আবাদ ও গুড় উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে প্রয়োজনে বিদেশে এই গুড় পাঠানো হবে।