ঢাকা (রাত ১১:১০) রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

অভিযোগ উঠেছে নাগরপুরে কৃষি অফিসের জায়গা দখল করে গৃহ নির্মানে ব্যস্ত নৈশপ্রহরী

মো. শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর(টাঙ্গাইল) মো. শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর(টাঙ্গাইল) Clock মঙ্গলবার রাত ১১:৫৭, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বাবনাপাড়া মৌজায় ৮৫২ নং দাগের ভূমি, যাহা কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধীনের নাগরপুর কৃষি অফিসের জায়গা। নৈশপ্রহরী জহিরুল ইসলাম এই জায়গাটি দখল করে স্থায়ী গৃহ নির্মানে ব্যস্ত।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে, ঘটনা স্থলে গিয়ে কৃষি অফিসের জায়গা দখলের বিষটির সত্যতা পাওয়া যায়। স্থায়ী গৃহ নির্মান ছাড়াও অফিস জায়গার গাছ কর্তন, গাছের ডালপালা কর্তন ও চৌচালা বা চার চালা রঙ্গীন টিনের ঘর নির্মানে ব্যস্ত ছিলেন নৈশপ্রহরী। সে উপজেলার দুয়াজানী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম।

ঘর নির্মানের বিষয়ে জহিরুল বলেন, আমি নাগরপুর উপজেলার কৃষি কর্মকতা মো. আব্দুল মতিন বিশ্বাস এর নির্দেশেই গৃহ নির্মান করছি এবং এর সকল খরচ তিনিই দিচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনিই অনুমোতি দিয়েছন। লিখিত অনুমোতির কথা জানতে চাইলে, জহিরুল বলেন, কিসের অনুমোতি, কার অনুমোতি। তবে তিনি নিজেকে কৃষি অফিসের অফিস ক্লার্ক দাবী করেন। পরে তিনি বলেন, স্যারের মৌখিক অনুমোতি নিয়েই ঘর নির্মান করছি। তার বক্তব্য চাইলে এবং কাজের বিসয়টির ভিডিও ধারন করার সময় সে আব্দুল মতিন বিশ্বাস সহ বেশ কয়েক জনকে ফোন দিয়ে সংবাদটি না প্রকাশের জন্য চাপ প্রয়োগ করান।

কৃষি অফিসের ক্লার্ক দাবী করা জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলার সময় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের চাকুরীরত পরিচয় দিয়ে তার বড় ভাই খোকন ধামকি দিয়ে বলেন, আপনারা কে? এখানে আমার ভাই ঘর নির্মান করছে, তাতে আপনাদের কি? আপনারা ছবি তুলেছেন কেন, চলে যান। আমি বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের চাকুরী করি, আমার বাড়ি দুয়াজানী, আমি আপনার বিষয়টি আমি দেখছি।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, আমাদের অফিসের উপ সহকারীদের জন্য কোয়ার্টারের বেহাল দশা। তাই গাছপালা ও সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জহিরুলকে কোয়ার্টারে অস্থায়ী ঘর নির্মান করে থাকার জন্য মৌখিক অনুমোতি দিয়েছি। যেখানে ঐ কোয়ার্টারে ২জন উপ সহকারী কৃষি অফিসারকে থাকার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাকে প্রশ্ন করা হয়, যাদের নামে কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তারা কি অফিসের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছেন না? উত্তরে তিনি বলেন, নৈশপ্রহরী তার পরিবার নিয়ে ওখানে থাকলে গাছপালা ও সম্পত্তির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হবে। তবে নৈশপ্রহরী কি দিনে ডিউটি পালন করবে? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।

আর গৃহ নির্মানের খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন জহিরুলকে নিজ খরচে ঘর নির্মান করতে বলেছি। তবে পরে কোন ফান্ড আসলে সেখান থেকে তাকে বরাদ্দ দেয়া হবে। তবে আমি গাছপালা কর্তনের ব্যপারে কিছুই জানিনা।

 




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT