নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৬:২৮, ২৫ আগস্ট, ২০২২
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান; আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুদের ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দিচ্ছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী; নগরের মিউনিসিপ্যাল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই টিকা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মেয়র আজ চট্টগ্রাম থাকবেন না বলে; এক দিন আগে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৫০টি বিদ্যালয়ে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। সকাল থেকে করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের ১২০টি দল বিদ্যালয়গুলোতে টিকা নিয়ে উপস্থিত হয়। করপোরেশনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, প্রতি ওয়ার্ডে প্রথম দিন একটি করে বিদ্যালয়ে ৩০০ জন করে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
যদি ৩০০ জনের চেয়ে কম হয় আশপাশের অন্য বিদ্যালয় থেকে; টিকাযোগ্য শিশুদের প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
সিটি করপোরেশন মেনকা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় দেখা যায়, শিশুরা লাইনে দাঁড়িয়ে করোনার টিকা নিচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান টিক নিয়ে বলে, করোনার কারণে অনেক দিন বিদ্যালয়ে আসতে পারিনি। টিকা নিলে নাকি করোনার ভয় কমে যায়। তাই টিকা দিতে পেরে ভালো লাগছে। একই বিদ্যালয়ের সূচনা দাশ, মানসী দাশও করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। টিকা দেয়ার আগে তাদের মনে ভয় কাজ করেছে বলে তারা জানায়।
নগরের নন্দনকাননের ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ে সকাল থেকে একটি দল টিকাকাজে ব্যস্ত ছিল। এই বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ৩ শতাধিক শিশুকে টিকা দেওয়া হয়। টিকার নিবন্ধন কার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা সকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।
ষষ্ঠ শ্রেণির রিদুয়ান চৌধুরী বলে, টিকা নেওয়ার আগে একটু ভয় পেয়েছে সে। তবে দেওয়ার সময় ততটা ব্যথা পায়নি। টিকা নেয়ায় করোনার ভয় থেকে অনেকটা মুক্ত থাকবে বলে জানায়; একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শুভম বিশ্বাস।
সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমাম হোসেন বলেন, প্রথম দিন প্রায় ১২০টি দল নগরের ৫০টি বিদ্যালয়ে টিকা দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম চলবে। টিকা দেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। যারা নিবন্ধন করতে পারেনি, তাদের পরে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম দফায় ১০ দিন বিদ্যালয়গুলোতে এবং পরে চার দিন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বাদ পরাদের টিকা দেয়া হবে।