লিটনের সেঞ্চুরিতে সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ
ডেক্স রিপোর্ট শনিবার রাত ০১:৩৩, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজটা রীতিমত দুঃস্বপ্নের মতো গিয়েছে বাংলাদেশের। টেস্ট ক্রিকেটে বরাবরই ছন্দহীন বাংলাদেশের জন্য টেস্ট সিরিজের শুরুটাও তেমন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে টাইগাররা যে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনশেষে হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে নিশ্চিতভাবেই।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় প্রথম টেস্টের মাধ্যমে করোনাভাইরাস মহামারির পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক ফিরেছে। গ্যালারিতে উপস্থিত ৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এ টেস্টের মাধ্যমেই বাংলাদেশ দলের হয়ে অভিষেক হয় মিডল অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির আলী চৌধুরীর।
ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন ওপেনার শাদমান ইসলাম। কিন্তু পাকিস্তানি পেসার শাহীন আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেও তার ব্যাটে লাগার শব্দ প্রতিপক্ষের কানে না পোঁছায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। তবে ফিরে পাওয়া জীবনকে কাজে লাগাতে না পেরে সেই শাহীন আফ্রিদির বলেই সাজঘরে ফিরেন তিনি।
এছাড়া, আরেক ওপেনার সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অধিনায়ক মমিনুল হকও তার পথ অনুসরণ করলে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা। মজার ব্যাপার হলো শাদমান, সাইফ এবং শান্ত তিনজনই ১৪ রান করে আউট হন। অন্যদিকে, মমিনুল আউট হন ব্যক্তিগত ৬ রানে।
এরপরের গল্পটা শুধুই লিটন দাশ আর মুশফিকুর রহিমের। এই দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দিনের বাকি অংশে আর কোনো উইকেট হারায়নি। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডারের এ দুই ব্যাটারের অবিচ্ছিন্ন ২০৪ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে দিনশেষে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান তুলে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া উইকেটরক্ষক লিটন দাস অপরাজিত রয়েছেন ১১৩ রানে। তার ইনিংসটি ১১ চার ও এক ছয়ে ছিল সাজানো। আর মুশফিকুর রহিম অপরাজিত রয়েছেন ৮২ রানে। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার।