ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:৫৩) শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News গৌরীপুরে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বর্ণিল বিদায় সংবর্ধনা Meghna News স্বামীর মধুময় স্মৃতি রোমন্থনে দিন কাটছে স্ত্রী মারজিনার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃতি সন্তান সানাউল্লাহ হলেন নির্বাচন কমিশনার Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার, আটক-১ Meghna News নাগরপুরে যদুনাথ স. প্রা. বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত Meghna News দ্রুত সুমনের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানাল পরিবার Meghna News সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেটের সম্পাদক গরম পানিতে ঝলসে গুরুতর আহত Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাস জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে নিহত একজন Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর আদিবাসী শিশুর মরদেহ উদ্ধার Meghna News মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় যুবক নিহত

মুজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন পালন করছে আজ

আরিফুল ইসলাম আরিফুল ইসলাম Clock সোমবার সন্ধ্যা ০৭:৩০, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

মানববন্ধনের একাংশ

দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাই।

শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ হোক, দুর্নীতিবাজদের বহিষ্কার করা হোক।

এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষা বাণিজ্য, দুর্নীতি ও শিক্ষার্থী হয়রানি, নকল শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধের দাবিতে আজ মানববন্ধন পালন করছে মেঘনা উপজেলার মুজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শিক্ষার্থীদের দাবি উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাড়তি টাকা নেয় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও গভর্নিং বডিতে থাকা কতিপয় সদস্য। তাদের সাথে কথা বলে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা জানায় যে, শ্রেণী ক্লাসের মতো করেই করানো হয় কোচিং ক্লাস তবে, বেতন নেওয়া হয় শ্রেনী ক্লাসের মাসিক বেতনের চেয়ে দুই-তিন গুন বেশি। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্লাস নেওয়া হয়না বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক দিয়ে। ক্লাস করানো হয় ভার্সিটি পড়ুয়া বা ডিগ্রি পাস অদক্ষ ও অযোগ্য খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে। আর ক্লাসের পড়া না শিখিয়ে শেখানো হয় কিভাবে পরিক্ষায় অধিক নাম্বার পাওয়া যায়। যার একমাত্র পথ কোচিং নিয়মিত মোটা অংকের টাকা দিয়ে করে পরিক্ষা কেন্দ্রে নকল করা। নকল সাপ্লাই দেন প্রিন্সিপাল নিজে এবং অপর বিশ্বস্ত শিক্ষক সাদেক মুন্সি।

বিষয়গুলো এলাকাবাসী জেনো বুঝতে না পারে সেজন্য করেছেন অনেক উন্নয়নমূলক কাজও তবে, দেখানো হয়েছে মোটা অংকের ভাউচার। এবিষয়গুলোতে বাধা দিয়েও কোন প্রকার সমাধান পাননি গভর্নিং বডিতে থাকা কয়েকজন সদস্য। তাদের সাথে কথা বললে, নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, প্রতিষ্ঠানের অডিট করে তা প্রকাশ করা হলে বুঝবেন কতটা জঘন্য দুর্নীতি চলছে এই প্রতিষ্ঠানে। শুধু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই বিভিন্ন ধরনের ফি আদায় নয় ফান্ডে থাকা অর্থও ব্যয় করা হয় বেশ কয়েকগুণ বেশি খরচ দেখিয়ে। আর, এখানে শুধু প্রধান শিক্ষক এবং শফিকুল সাহেবই নন সাথে রয়েছেন আরো অনেকেই। তবে অনেকেই শংকা করে বলেন, কেচু খোড়তে গিয়ে বুঝি এবার সাপ বের হয়ে আসবে মনে হচ্ছে!

এবিষয়ে কথা বলার জন্য মেঘনা নিউজ টিম জনাব শফিকুল আলম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে বেশ কয়েকদিন যাবত চেষ্টা করার পর আজ কথা বলতে পারে মেঘনা নিউজ টিম। শিক্ষার্থীদের বর্তমান সমস্যা সমাধানের প্রশ্নের জবাবে, জনাব শফিকুল আলম সাহেব হতাশ হয়ে জানান, এটা কোন সমস্যা নয় তাই সমাধান করার মতো কিছু নেই।

বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথাও বলেন তিনি তবে, শিক্ষার মানোন্নয়ন সময় সাপেক্ষ বলে দাবি করেন তিনি। জে.এস.সি ফলাফল ২০১৫ এবং ২০১৬ এবং এবছরের আশানুরূপ ফলাফলের ব্যাপারে তিনি বলেন ২০১৫তে পরিক্ষা হলে বই দেখে দেখে পরিক্ষা দিয়েছে পরিক্ষার্থীরা যা ২০১৬ তে করতে পারেনি। জনাব শফিকুল আলম সাহেবের ফোনে কথা হয় অত্র প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার শিক্ষক জনাব বোরহান উদ্দিন সাহেবের সাথে। তিনি জানান, এবারের বোর্ড পরিক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীরা করছে এই মানববন্ধন। তবে, টেষ্টে ফেল করার দায় নিবে কে জানতে চাইলে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও একই পদ্ধতি বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন জনাব শফিকুল আলম সাহেব তবে এরই মধ্যে এমন একটি ঘটনা মনে হতাশা সৃষ্টি করে এবং ভালো কিছু করার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যায় এবং ভিত্তিহীন সংবাদ বলে তিনি প্রমাণ দিতে বলেন।

তবে, ফোনে পাওয়া যায়নি বর্তমান প্রিন্সিপাল জনাব আব্দুর রউফ সাহেবকে।

উল্লেখ্য যে, আমরা দেখেছি বর্তমান প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য নির্ধারিত ক্লাসের পাশাপাশি কোচিং ক্লাসের বেবস্থাও করেছেন। শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং শিক্ষার্থীদের প্রানপন চেষ্টার পরও দুঃখজনক হলেও সত্ব হলো গতবারের জেএসসি পরিক্ষার ফলাফল আমাদের সবাইকে হতাশ করে পাশের হার এসেছে মাত্র ৩০.২৭%।

এবং ২০১৫ সালে জে.এস.সি পরিক্ষার ফলাফল ছিল ৯২.২২%

আমার প্রশ্ন হলো ২০১৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানে কি এমন পরিবেশ ছিল যা ২০১৬ সালে ছিল না।

কথা প্রশঙ্গে বলতে চাই গত বছর ৯২.২২% থেকে এবছর ৩০.২৭% এ নেমে আসার কারন কি তাহলে পরিক্ষার হলে নকল সুবিধা থাকা আর না থাকাটাই?

মেঘনা নিউজকে সাথে রেখে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি উপজেলা প্রশাসকগন ও শিক্ষা অফিসের প্রধানের সুনজর আশা করছি।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT