ঢাকা (রাত ২:২১) মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


ভোলায় বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে এক সন্তানের জননীর অনশন

কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা Clock শুক্রবার সন্ধ্যা ০৬:৩৯, ৮ জুলাই, ২০২২

ভোলার চরফ্যাশনে বিয়ের দাবীতে গত দুই দিন ধরে আলামিন (১৮) নামের এক প্রেমিকের বাড়িতে, এক সন্তানের জননী প্রেমিকার অনশনের খবর পাওয়া গেছে।

এক সন্তানের জননী প্রেমিকা গত বুধবার ঢাকা থেকে চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে প্রেমিক আলামিনের বাড়িতে এসে এ অনশন শুরু করেন।

এদিকে প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বসত ঘরে তালাবদ্ধ করে, গাঁ-ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক আলামিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। প্রেমিক আলামিন চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের ছেলে। প্রেমিকা নারী বাঘেরহাট জেলার মংলা বন্দর থানার কেওড়া তলা গ্রামের বাসিন্ধা বলে জানাগেছে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আলামিনের সাথে তার পরিচয় হয়। প্রথমে বন্ধুত্ব হলেও কিছুদিন পরে সম্পর্ক প্রেমে গাড়ায়। প্রেমের সুত্র ধরে প্রেমিক আলামিন তার কর্মস্থল ঢাকার কামরাঙ্গীর চর এলাকায় বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রী মতো একই রুমে রাত্রী যাপন করতেন। প্রেমিক আলামিন ঢাকায় তার বাসায় গিয়ে নিয়মিত শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন।

এমনি ভাবে কেটে যায় তাদের দুই বছর। মাঝে মধ্যে প্রেমিক আলামিনের মা রাজিয়া বেগমের সাথে তার মোবাইল ফোনে কথা হতো। আলামিনের মা রাজিয়া বেগম তাদের বিয়ে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

গত মাসে মোবাইল ফোনে আলামিনের সাথে ঝগড়া বাধলে তাদের সম্পর্কের কিছুটা অবনিত হয়। ঝগড়ার জের ধরে প্রেমিক আলামিন তাদের রোমান্টিক মুহুর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এসব নিয়ে তাদের প্রেম জীবনের কলহ শুরু হয়। এর মধ্যেও তাদের দুজনের নিয়মিত যোগাযোগ হতো।

গত কয়েকদিন আগে প্রেমিক আলামিন তাকে ফেসবুক থেকে ব্লক মারেন এবং ফোন নাম্বার ব্ল্যাকলিষ্টে রেখে দেন। প্রেমিকের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে তিনি বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক আলামিনের বাড়িতে অবস্থান নিলে, গ্রামবাসীরা তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিমের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার জিম্মায় রাখেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম জানান, ওই নারী বিয়ের দাবী নিয়ে যুবক আলামিনের বাড়িতে অবস্থান নিলে, আলামিনের পরিবারের সদস্যরা ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। পরে গ্রামবাসী নারীর নিরাপত্তার জন্য তার জিম্মায় দেন। দুদিন হয় ওই নারী তার হেফাজতে আছেন।

দুলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোরাদ হোসেন বলেন, লোকমুখে এ কথা শুনেছি। ভিষ্টিম অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT