মৌলভীবাজারে গরুর শরীরে দেখা দিয়েছে “লাম্পি স্কিন” নামক ভয়ংকর রোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি মঙ্গলবার রাত ০৮:৫৮, ২৩ জুন, ২০২০
মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারে হঠাৎ করে গরুর শরীরে দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন নামক এক ভয়ানক রোগ যার কারণে পড়ে যাচ্ছে গরুর সারা শরীরের লোম তার সাথে দেখা যাচ্ছে গরুর শরীরের তাপমাত্রাও অনেকটা স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি। গরুর খাবারের রুচি ও কমে যাচ্ছে কিছু খেতেও চাচ্ছে না। মুখ এবং নাক দিয়ে অঝোরে লালা বের হচ্ছে।
গ্রামের পশু ডাক্তারের মাধ্যমে বেশ কিছু দিন চিকিৎসা করার পরেও কোন পরিবর্তন আসছেনা উল্টো গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরায় কোন উপায় না দেখে গরুর মালিক আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করে জানতে পারেন এই রোগের নাম ‘লাম্পি স্কিন’ নামক এক ভয়ংকর রোগ তবে এই রোগ শনাক্ত করতে দেরি হওয়ায় এখন গরু বাঁচিয়ে রাখাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে জেলায় ৬ হাজার গরু ‘লাম্পি স্কিন’ নামক এই রোগে আক্রান্ত। মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর থেকে এই রোগে অনেক গরু আক্রান্ত হচ্ছে। এর আগে এই রোগ কৃষকের বা খামারিদের চোখে পড়েনি। লাম্পি স্কিন নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এক বছর আগে থেকে এই রোগ এলেও গত প্রায় ৩-৪ মাস ধরে জেলার ৭ টি উপজেলায় এ রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ১১০টি গরু।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, ডাঃ মোঃ মাছুদুর রহমান সরকার বলেন, জেলায় সর্বশেষ পরিসংখ্যন অনুযায়ী গবাদি পশুর সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার। সরকারি হিসেব মতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার। আর মারা গেছে গত ১৫ দিনে ৫০টি গবাদিপশু।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে জনবল ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সংকটের কথা। লাম্পি স্কিন নামীয় ভাইরাসের কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। এ জন্য গবাদিপশুর আবাসস্থল পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা সহ সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণী ও ক্ষুদ্র খামারিরা মনে করেন লাম্পি স্ক্রীন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত এর চিকিৎসা সহ প্রতিষেধক সংগ্রহ করে গবাদি পশুকে না দেয়া গেলে পশু সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। এই রোগে জেলায় এখন পর্যন্ত ৫০টি গরু মারা গেছ।