নড়াইলে সহিংসতার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর-দোকান ও মন্দির পরিদর্শনে ১৪ দল
ইকবাল হাসান,নড়াইল শনিবার রাত ০১:৩৬, ২৩ জুলাই, ২০২২
নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তি নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-১৪ দলীয় জোট নেতা সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দোলোয়ার হোসেন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তার হোসেন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউর রশীদ খান রেজা, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ওয়াবয়দুর রহমান চুন্নু, তরিকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ আলী ফারুকী, গণ-আজাদী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস কে সিকদার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের নেতা অসিত বরণ রায়, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শেখ সিহানুক রহমান, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি স.ম ওহিদুর রহমান, দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন সহ ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।
নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে এবং ৪টি মন্দিরে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।
এ সময় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাই। এ ধরনের হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়া যাবে না। পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। আর বারবার হামলা হবার কারণ হচ্ছে, সঠিক বিচার না হওয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।
বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার পাঁচটি বাড়ি ও দিঘলিয়া বাজারের ছয়টি দোকান ভাংচুর করেন। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুর ও মহাশ্মশান কালিবাড়ি মন্দির সামান্য ক্ষতি করে বিক্ষুদ্ধরা।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন জানান, হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।