ধর্মপাশার দুর্গম হাওরে বঙ্গবন্ধু নামক অনুষ্ঠান ও মহারাজ মিয়া-বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) বৃহস্পতিবার রাত ১০:১৭, ২৬ আগস্ট, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর বড়হাটি গ্রামে বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত মনছফ রাজা চৌধুরী মহারাজ মিয়ার বাড়িতে দুর্গম হাওরে বঙ্গবন্ধু নামক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্মপাশা উপজেলা শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সংগঠনটির ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শাহ আবদুল বারেক ছোটন এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের অপুর সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রয়াত মনছফ রাজা চৌধুরী মহারাজ মিয়ার পুত্র ও সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বির চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হাসান, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস প্রমুখ। সভা শেষে ওই বাড়িতে মহারাজ মিয়া- বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়। পরে ওই বাড়িটির চত্বরে ফলজ ও বনজ গাছের ২১ চারা রোপন করা হয়।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০সালের ৯অক্টোবর রোজ শুক্রবার আমাদের বাড়িতে লঞ্চযোগে নির্বাচনী সফরে এসেছিলেন। আমাদের বাড়ির মসজিদে তিনি জুমআর নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করার পর তিনি আমাদের বৈঠকঘর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছেন। পরে বৈঠকঘর প্রাঙ্গণে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি নির্বাচনী বক্তব্য দেন। আমার প্রয়াত পিতা ও এলাকার মুরুব্বীদের কাছ থেকে আমি এই তথ্য জানতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিড়জিত আমাদের সেই বৈঠক ঘরটিকে আমার নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার করে মহারাজ মিয়া-বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, দুর্গম হাওরে বঙ্গবন্ধু নামক একটি অনুষ্ঠানে আমি অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যিকারের মাটি ও মানুষের নেতা। তাই এত প্রত্যন্ত্য অঞ্চলে তাঁর বিচরণ ছিল।
প্রধান অতিথি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, বঙ্গবন্ধু সাদাসিধে জীবন যাপন করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলে মিশে থাকতে পছন্দ করতেন। বাংলাদেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। তাঁরই একটি প্রমাণ এই দূর্গম হাওরাঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি। বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজ কর্মগুণে গুণে যুগ যুগ ধরে তিনি মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।