দাউদকান্দিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে দেয়াল নির্মাণে বাঁধা; থানায় অভিযোগ
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা রবিবার রাত ০১:২৬, ১৪ আগস্ট, ২০২২
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের, মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ পারভেজ এর পৈতৃক সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মাণে বাঁধা প্রদান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পারভেজের স্ত্রী জুলি বেগম জানান, আমার স্বামী মোহাম্মদ পারভেজ দীর্ঘবছর যাবত সৌদি আরবের প্রবাস জীবন কাটিয়ে; তার কষ্টে অর্জিত টাকা দিয়ে পৈতৃক সম্পত্তিতে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেন। সেই বিল্ডিংয়ের বাউন্ডারি দিতে গেলে; একই গ্রামের মিজান মেম্বার ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার আক্তার লাভলী দলবল নিয়ে তাদেরকে বাধা সৃষ্টি করে; দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
পারভেজ সৌদি থাকায় তার স্ত্রী বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে অতিবাহিত করেও; এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না পেয়ে, দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ পারভেজ মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, আমি সৌদি প্রবাসী। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমার সব বোনেরা তাদের ইচ্ছে মত বাবার সম্পত্তির অংশ নিয়ে নেয়। আমার অংশে আমার স্ত্রী জুলি দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে; আমার ভগ্নিপতি মিজান মেম্বারের নেতৃত্বে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ আমার বড় আপা নুরুন্নাহার আক্তার লাভলি; বাধা, হুমকি ধামকি ও গালাগালি করে কাজ বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবা-মার নির্দেশে ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পযর্ন্ত প্রবাস জীবনের সকল রোজগার, ভগ্নিপতি মিজান মেম্বার ভাইয়ের কাছে দেই। ছোট ভাই রকিব, মা, বোন ও মিজান ভাইয়ের সহযোগিতায় বাবার কাছ থেকে লিখিত ভাবে ঘর বাড়ি তোলার জমি নিয়ে নেই। বাবার মৃত্যুর পর মা ও বোনেরা মিলে; বাবার দেয়া আমার দখলকৃত ১৫.৫ শতাংশ জায়গা থেকে আমার ঘর সহকারে; ১০ শতাংশ জমি আমার আপার নামে রেজিস্ট্রার করে ফেলে। এখন তারা আমাকে চাপ সৃষ্টি করে, আমার বিল্ডিং ভাঙার জন্য।
২০১৫ সালে বাবা আমাকে এই নতুন বাড়ি দেয় আমাকে বিল্ডিং করতে। ২০১৮ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারিতে বাবা মারা যান। ২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসে আমার মা ও বোনেরা মিলে (১৫.৫) শতাংশ বাড়ি থেকে ১০ শতাংশ বাড়ি আমার বিল্ডিং সহকারে; মিজান ভাই তার স্ত্রী লাভলির নামে নিয়ে যায়। এখন আমার অবশিষ্ট সাড়ে ৫ শতাংশে দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে, বাঁধা ও হুমকি দেয়।
১৪ বছর যাবৎ আমার মা, ভাই, বোন ও ভগ্নিপতি আমার এবং পরিবারের ওপর জুলম করে আসছে। আমি আমার বাড়ির চাচা জেঠা ও বড় ভাইদের কাছে কোন সমাধান পাইনি। প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে মিজান মেম্বার বলেন, এটা আমার জায়গা; সে আমার জায়গায় বাউন্ডারি করতে এসেছে। এলাকার লোকজন নিয়ে এসে বসে যদি এখানে জায়গা পায়, তবে পারভেজ এ জায়গায় বাউন্ডারি করবে। এতে আমার কোন আপত্তি নেই।