গৌরীপুরে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে অনিয়ম
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ মঙ্গলবার বিকেল ০৫:১৫, ২০ এপ্রিল, ২০২১
ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল দাবী করছেন বরাদ্দ কম দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সরজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থিত পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীরের বেইজ নির্মাণের কাজ চলছে। এ কাজে ১৬ মিলি রডের পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ৮/১০ মিলি রড, রিং বাঁধাইয়ে দূরত্ব ৬ ইঞ্চির স্থলে করা হচ্ছে ৯ থেকে ১২ ইঞ্চি। ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের ইট-সুড়কি, দেয়া হচ্ছে না পরিমাণমত সিমেন্ট। এক পিলার থেকে অন্য পিলারের দূরত্বের মিল নেই। নেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, ঠিকাদার ও প্রকৌশলী কোনদিন কাজ দেখতে আসেনি। রাজমিস্ত্রিরা তাদের ইচ্ছেমতো কাজ করছে।নিম্নমানের কাজ করার ফলে তাতে যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
রাজমিস্ত্রী হাবিব মিয়া বলেন, কাজের সুবিধার্থে একটু এদিক সেদিক করে কাজ করতে হচ্ছে, হিসাব ঠিকই আছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আকরাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আকরাম হোসেন বলেন, ৫১০ ফুট কাজে বরাদ্দ মাত্র ১২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। অল্প টাকার কাজ তাই আমি দেখতেও যাইনি, রাজমিস্ত্রী নিয়মানুযায়ী কাজ করার কথা।
এ অভিযোগের বিষয়ে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র দাস জানান, ভাংনামারী পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঠিকাদারের মতো তিনিও বলেন, এ বাজেট দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা যায় না। তবুও কোন রকমে কাজটা শেষ করতে চাচ্ছি।
গৌরীপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, উক্ত কাজটি উপ-সহকারী প্রকৌশলী তদারকি করছেন। এক্ষেত্রে কাজে অনিয়মের অভিযোগ থাকলে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেছেন।