ঢাকা (বিকাল ৪:৪৫) মঙ্গলবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাণীনগরে বৈঠাখালি বিল নিয়ে উত্তেজনা,সংঘর্ষের আশংকা

আবু ইউসুফ,নওগাঁ আবু ইউসুফ,নওগাঁ Clock রবিবার দুপুর ০২:২৮, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের বৈঠাখালী বিলে (দহে) কাঠা দেয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার মৎস্যজীবিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ফলে যে কোন সময় সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকা বাসি। এ ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,বৈঠাখালি বিলে বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর আদীকাল থেকে ওই এলাকার কয়েকশত মৎস্যজীবিরা বিল থেকে মাছ আহর করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এছাড়া ওই বিলের আশে পাশের জমিতে পানি সেচ দিয়ে ফসল উৎপাদনসহ কৃষি ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করে আসছেন। এরই মধ্যে বিল সংলগ্ন পার্শ্ববতি নওগাঁর শিকারপুর গ্রামের ওছমান আলীর ছেলে এরশাদ আলী নওগাঁ সদর থেকে ওই বিলটি লিজ নিয়েছেন দাবি করে হঠাৎ করেই বিলে (দহে) বাঁশ-খড়ি দিয়ে কাঠা লাগিয়ে বিল দখল করে। এর পর থেকে ওই বিলে মৎস্যজীবি তথা স্থানীয় লোকজনদের মাছ শিকারতো দুরের কথা বিলের পানি পর্যন্ত স্পর্শ করতে দিচ্ছে না।

এ অবস্থায় ওই এলাকার মৎস্যজীবি তথা স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যে কোন মহুর্তে সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকা বাসী। মিরাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুল হক বলেন,বৈঠাখালি দহ আমাদের রাণীনগর উপজেলার মিরাট মৌজার ১ নং খতিয়ানের ২০০১ দাগে অবস্থিত।

কিন্তু এরশাদ আলী বিল সংলগ্ন নওগাঁ সিমানার ৩৫৭২ দাগে লিজ নিয়ে আমাদের এই বিলে কাঠা দিয়েছে। কাঠা অপসারণ করতে এবং সিমানা নির্ধারন ও সংঘাত এরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ নিয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় আব্দুর রহমান,ফজলুর রহমান,আবুল কাশেম ও মকলেছুর রহমানসহ আরো অনেকেই জানান,এই বিল (দহ) আদিকাল থেকেই উন্মুক্ত ছিল। এলাকার মৎস্যজীবিরা সারা বছর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই নওগাঁর শিকারপুর গ্রামের এরশাদ আলী বাঁশ-খড়ি দিয়ে বিল দখল করে নিয়েছে। ফলে বিলে মাছ ধরা নিয়ে এলাকার মৎস্যজীবিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিলটি উন্মুক্ত না করলে যে কোন সময় সংঘর্ষ ঘটতে পারে।

বিল দখলকারী এরশাদ আলী বলেন, নওগাঁ সদর থেকে একটি প্রকল্পের আওতায় বিলটি (দহ) খনন করেছি। সেই সুত্র ধরে সুফলভোগী হিসেবে দহটি আমাকে সদরের ইউএনও ও মৎস্য কর্মকর্তা লিজ দিয়েছেন। এখানে সিমানার কিছু জটিলতাও রয়েছে। আমি আমার লিজের কাগজপত্র রাণীনগরের ইউএনও ও মৎস্য কর্মকর্তাকে দিয়েছি। বিলটি যদি আমার আওতা ভুক্ত না হয় তাহলে লিজের টাকা ফেরৎ দিলে আমি বিল থেকে উঠে যাব ।

রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন,বিল দখল নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নওগাঁ সদরের ইউএনও কে অবগত করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT