যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ শিক্ষা কমিটির
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ সোমবার সন্ধ্যা ০৬:২১, ৮ নভেম্বর, ২০২১
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করেছে উপজেলা শিক্ষা কমিটি। এছাড়াও এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠা বিদ্যালয়ের স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সুপারিশ করেছে শিক্ষা কমিটি।
রোববার বিকালে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খানের কার্যালয়ে আয়োজিত শিক্ষা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত শেষে এই সুপারিশ করা হয়। শিক্ষা কমিটির ওই সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাড়াও ইউএনও হাসান মারুফ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন, শিক্ষা কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, আম্বিয়া আক্তারসহ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠা যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা নিয়ে আমরা বিব্রত।
ইউএনও হাসান মারুফ বলেন, এর আগেও শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই ধরণের একাধিক অভিযোগ ছিল। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বলেন, শিক্ষা কমিটির চিঠি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। গত ৩১ অক্টোবর সকালে পৌর শহরের শহীদ মঞ্জু সড়ক এলাকায় মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হন। পরে ওইদিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বিচার চেয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এদিকে স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ১৪দিনের ছুটি চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন।
এঘটনার তদন্তে সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হারুন-অর-রশিদ গৌরীপুরে আসেন। ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলার পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক বিধিবহির্ভূতভাবে নিজ বাসায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং পড়াতেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত চলছে, প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।